AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: BLRO আধিকারিকের নাম করে ভুয়ো নোটিস, জমি দখলের নতুন পন্থায় তাজ্জব দুঁদে কর্তারাও

Malda: মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দফতরে ঘুঘুর বাসা। সক্রিয় দালাল চক্র! পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদের মাঝেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের নাম করে ভুয়ো নোটিস।

Malda: BLRO আধিকারিকের নাম করে ভুয়ো নোটিস, জমি দখলের নতুন পন্থায় তাজ্জব দুঁদে কর্তারাও
জমির মালিক Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 21, 2025 | 1:22 PM
Share

মালদহ: জমি হাতাতে জমি মাফিয়াদের নতুন পন্থা। ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের নাম করে ভুয়ো নোটিস, সরকারের লোক পরিচয় দিয়ে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের।

মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দফতরে ঘুঘুর বাসা। সক্রিয় দালাল চক্র! পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদের মাঝেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের নাম করে ভুয়ো নোটিস। তারপর সরকারের লোক এবং উকিল পরিচয় দিয়ে বাড়িতে গিয়ে হুমকির অভিযোগ। চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চাঁচলের মল্লিকপাড়া এলাকার ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা দুই অভিযোগকারী ফরিদা বিবি এবং নুরবানু বিবির দাবি পারিবারিক জমির মালিকানা নিয়ে তাদের পরিবারেরই অপরপক্ষ আমাল উদ্দিনের সঙ্গে বিবাদ চলছিল। আমাল উদ্দিন জোর করে তাঁদের ভাগের জমি দখল করতে চাইছিলেন বলে অভিযোগ। তার মাঝেই চলতি মাসের ১৬ তারিখ তাঁদের বাড়িতে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে একটি নোটিস পৌঁছয়, যে নোটিসে লেখা রয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের নির্দেশ জমি মাপজোক নিয়ে নির্দিষ্ট একটি সময় এবং দিনের।

কিন্তু সেখানে কোন সিল বা সই নেই। তাদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। তারপরেই অভিযুক্ত পক্ষ দুইজন ব্যক্তি কে নিয়ে তাঁদের বাড়িতে যায়। এই দুজন ব্যক্তি নিজেদের উকিল মহরিল এবং ভূমি সংস্কার আধিকারিক দফতরের লোক হিসেবে পরিচয় দেয়। হুমকি দেয়। তার মধ্যে একজন নিজের নাম বলেন আরমান আলি।  এই ঘটনার পর আতঙ্কিত দুই পরিবার চাঁচল থানায় গিয়ে সেই ভুয়ো নোটিস-সহ অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনা সামনে আসার পর প্রশ্ন উঠেছে কোথা থেকে এই ধরনের নোটিস তৈরি হচ্ছে। কারা এই কাজে যুক্ত।

যদিও ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অমিত দাস এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তাঁর দাবি এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে তার কাছে কোনও তথ্য আসেনি। তার দফতরেও কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই তিনি মুখ খুলবেন না।

অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে সব কিছুই ভুয়ো। সরকারি দফতরগুলো ঘুঘুর বাসা। এই ধরনের ঘটনা তার প্রমাণ দিচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি।