Malda: বেড়েছে পাঁচ শতাংশ ভোটার, মালদহের মুচিয়ায় এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে গিয়ে সংশয়ে BLO-ই

Malda SIR: মালদহ বিধানসভার মুচিয়া অঞ্চলের ডাঙা খানপুর, মোহনবাগান ,ডোবা খানপুর নিয়ে একটি মাত্র বুথ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে বহু পরিবার বসবাস করেন । তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ২০০২ এর ভোটার লিস্টের নাম নেই, যার ফলে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন সেই সমস্ত পরিবার।

Malda: বেড়েছে পাঁচ শতাংশ ভোটার, মালদহের মুচিয়ায় এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে গিয়ে সংশয়ে BLO-ই
বাংলাদেশি ভোটারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 09, 2025 | 3:20 PM

মালদহ: ৭১ সালের পর ওপার বাংলা থেকে ভারতে এসেও ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেননি বৃদ্ধ।  বহুবার সরকারি দফতরে আবেদন করেও নাম ওঠেনি তাঁর অথচ তাঁর সন্তানদের নাম উঠেছে ভোটার তালিকায় । যে গ্রামে তাঁরা থাকেন, সেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন সেই গ্রামের প্রায় সব পরিবারই বাংলাদেশি। এলাকায় বিএলও ভোটার ম্যাপিং এর কাজ করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। বিএলওর দাবি, বহু পরিবার বাংলাদেশি। আগে এসেছে,পরেও এসেছে। ভোটার লিস্টে অনেকেরই নাম নেই।

মালদহ বিধানসভায় মুচিয়া অঞ্চলের ২০৪ নম্বর বুথ ডাঙা খানপুর, এলাকার বাসিন্দা নির্মল কুমার বিশ্বাস। বৃদ্ধের নাম ২০০২ এ না থাকায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বৃদ্ধের পরিবার। বৃদ্ধের দাবি, ‘৭১ সালের পর বাংলাদেশের পাবনা জেলা থেকে ভারতে এসেছিলেন মালদার মুচিয়া অঞ্চলের ডাঙা খানপুর এলাকায় বসবাস শুরু করেন । ভোটার লিস্টে তাঁর নাম উঠেনি। ২০০২ সালেও তাঁর নাম নেই। ছেলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম উঠেছে সে ক্ষেত্রে এস আই আর চালু হাওয়ায় রীতিমতো চিন্তার মধ্যে পড়েছেন তিনি । এবারও ২০২৫-এ যাতে নাম ওঠে, সেই জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন তিনি।

মালদহ বিধানসভার মুচিয়া অঞ্চলের ডাঙা খানপুর, মোহনবাগান ,ডোবা খানপুর নিয়ে একটি মাত্র বুথ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে বহু পরিবার বসবাস করেন । তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ২০০২ এর ভোটার লিস্টের নাম নেই, যার ফলে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন সেই সমস্ত পরিবার।

২০৪ নম্বর বুথের বিএলও বিপ্লব বিশ্বাস জানান, ইতিমধ্যেই এই এলাকায় ৭১ শতাংশ ম্যাপিংয়ের কাজ হয়েছে । ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই বুথ । এখানে বাংলাদেশ থেকে এসে অনেকেই বসবাস শুরু করেছেন । অনেকের নাম রয়েছে অনেকের নাম এখনও নেই । এমনকি ২০০২ এর তালিকাকেও কেউ নেই।

২০০২ সালে এলাকায় ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার । ২০২৫-এ সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৮০। ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট বেড়েছে। এলাকায় বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে সাত থেকে আটটা পরিবারের ২০০২ সালের নাম নেই।

অনেকের আবার ছেলের নাম আছে বাবার নাম নেই। বিএলও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ফর্ম বিলি করা হয়ে গিয়েছে, ফর্ম সংগ্রহ করে আবার দফতরেও জমা দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁদের আদৌ নাম উঠবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে খোদ বিএলও নিজেই।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাকবিতন্ডা।

মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহা বলেন, “বাংলাদেশ থেকে যাঁরা ভারতে শরণার্থী হিসেবে এসেছিলেন, যাঁরা আজকে ভারতে বাস করছেন, তাঁদের কোনওরকম নাম বাদ যাবে না। CAA তে আবেদন করবেন, তার মাধ্যমে তাঁদের নাম উঠে যাবে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের পাশে আছে।”

মালদহ তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “যাঁরা বাংলায় বসবাস করছেন, তাঁদের নাম একজনেরও ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না। কোনওরকম বৈধ ভোটারের যদি নাম ভোটার তালিকা থেকে কাটা যায়, তাহলে আমরা এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামব।”