Mamata-Abhishek Rally LIVE: ‘এই ভোটার তালিকা বাতিল হলে দিল্লি সরকারও ভেঙে দেব’, সুর চড়ালেন মমতা
TMC Rally against SIR: আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই এসআইআর-এর ফর্ম বিলির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলও-রা। এদিনই পথে নেমে প্রতিবাদ তৃণমূলের। ভোটাধিকার রক্ষার স্বার্থে মিছিল বলে দাবি তৃণমূলে। উপস্থিত থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়। ফর্ম বিলিও শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই আবহেই আজ, পথে মমতা-অভিষেক। এসআইআর-এর বিরোধিতায় মঙ্গলবার মেগা মিছিল তৃণমূলের। আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল এগিয়ে পৌঁছবে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি।
LIVE NEWS & UPDATES
-
‘বুদ্ধি খাটিয়ে নাম তুলুন’
মমতা: অভিষেকের ও ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় নাম নেই। যার নাম নেই আমাদের ক্যাম্প এ যাবেন । বাবা মা র সার্টিফিকেট না থাকলে অন্যান্য সার্টিফিকেট দেখিয়ে নাম তুলুন । বুদ্ধি খরচ করুন ।
-
‘অভিষেককে বলছে, তোর পিসির থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আয়…’
মমতা: অভিষেককে বলছে, তোর পিসির থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আয়, মানে আমাকে বলছে। ওরা আর পিসি-মাসিকে কী সম্মান দেবে। বাবাকে মন্ত্রী করা হয়েছিল, বাবার মন্ত্রিত্বগ্রহণের সময়ে ছেলে যায়নি সেখানে, বাবাকে কেন করা হয়েছে তাই, তাঁদের থেকে আর কী আশা করবেন?
-
-
‘কুর্সিবাবু আপনি যা ইতিহাস তৈরি করবেন, তা পাতিহাস হবে’
মমতার ‘কুর্সিবাবু’ খোঁচা: শেষ এসআইআর বাংলায় হয় ২০০১ সালের নির্বাচনের পর। ২০০২-০৩ নির্বাচন ছিল না। ২০০৪ সালে লোকসভা ভোট হয়, সেই ভোটার লিস্টে ভোট হয়, ২ থেকে আড়াই বছর সময় লাগে। আজ মোদী ও শাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য যে কুর্সিবাবু, যিনি ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছেন, তাঁর ইতিহাস পাতিহাস হবে। বিহার প্রথমে বুঝতে পারেনি, যখন বুঝেছি, নাম কেটে বাদ গিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রথম থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করছি, যদি একটাও নাম বাদ যায়, বিজেপি সরকার ভেঙে ছাড়াব। আমাদের কাছেও তথ্য কম নেই। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত! কথায় কথায় মীরজাফ্ফর এজেন্সি পাঠায়। আমাদের তিন বিধায়ককে ফোন করে মিথ্যা কেস দিচ্ছে। আমরা তো ধরে কেস দেব।
-
বিজেপি দেওয়া ভোটের হারের তত্ত্ব খারিজ
মমতা: আমি এটাও শুনেছি, ওরা বলছে, যদি জোর করে ২ কোটি লোকের নাম বাদ দিয়েও জিততে না পারি, তাহলে এখন বলছে অন্য কথা। লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নাকি পেয়েছে, ৪০ শতাংশ, ওরা নাকি পেয়েছেন ৩৯ শতাংশ। যত দূর মনে পড়ছে, ২০০৪ সালে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়ে একা জিতেছিলাম বাংলায়, কেউ জেতেনি।
-
‘যেন তেন প্রকারে ২ কোটি নাম দিয়ে বাংলা দখলের প্ল্যান করছে’
মমতা: এক তো দেশে মীরজাফ্ফর আছে, যাঁর হাতে রক্তের দাগ রয়েছে, আপনি কি ভাবছেন, ওরা সব স্বর্গে যাবে? নিজেদের দলেই তো কত বিভেদ? আসলে বাংলার ওপর ওদের খুব রাগ। বাংলার সঙ্গে ওরা পেরে ওঠে না। গদিওয়ালারা ভাবছে, যেন তেন ভাবে ২ কোটি লোকের নাম বাদ দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিই, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিই, কিংবা দেশ থেকে তাড়িয়ে ওদের ক্ষমতা দখল করে নিই।
-
-
মমতার মুখে ফির নোটবন্দি প্রসঙ্গ
মমতা: রাতারাতি নোটবন্দি করে দিল। আমি প্রথম দিন থেকে প্রতিবাদ করেছি। কোনও কালো টাকা ফেরত এসেছে? উপরুন্ত গেছে! ১০০-র ওপর লোকের মৃত্যু হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে। বলেছিল, সব কালো টাকা ফেরত আনবে দেশে। LIC-র টাকাও চলে যাচ্ছে, এটাও সেফ নয়।
-
‘আপনাদের সরকারও মিথ্যা’
মমতা: তালিকা মিথ্যা হলে আপনার সরকারও মিথ্যা: ২০২৪ সালে আপনারা যে জিতেছিলেন, কোন ভোট নিয়ে জিতেছিলেন? কোন ভোটার লিস্ট ছিল? যদি এই লিস্ট মিথ্যা হয়, তাহলে আপনার সরকারও মিথ্যা। আপনাদের চেয়ারও মিথ্যা। করতে লুঠ, বলতে ঝুট! স্লোগান তুললেন মমতা।
-
‘আধার কার্ড করাতে ১০০০ টাকা করে নিয়েছিল, এখন বলছে প্রমাণপত্র নয়?’
আধার কার্ড নিয়ে মমতা: ৭০০ ভোট ২০০২ ম্যাপে রয়েছে, তাহলে নয়া ম্যাপ ২০২৫ সালে বানিয়েছেন, তাহলে ৫২৬ সালে বাদ গেল কীভাবে? এরকম একটা বুথও নেই। আধার কার্ড করতে লেগেছিল, প্রত্যেককে ১০০০ টাকা করে নিয়েছিল। চুরি করেছিল! যদি আধার কার্ড বানাতে প্রত্যেক ভোটারের কাছ থেকে ১০০০ টাকা করে নিল, তাহলে এখন কেন বলছে আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়? এদিকে, ব্যাঙ্কেও লিঙ্কের জন্য আধার নম্বর লাগে! মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। দিল্লি থেকে এই সরকারকে সরাও। কোনও আধারের প্রয়োজন পড়বে না। এখন আবার কাস্ট সার্টিফিকেট দিচ্ছে। কত কার্ড বানাবে?
-
‘বাবুকে বলছি, দালালি করার লিমিট আছে’
মমতার ‘বাবু খোঁচা’: বিজেপিতে কয়েকটা গদ্দার রয়েছে। যাকে যা ইচ্ছা বলে এজেন্সিকে দিয়ে। ৮০টা গাড়ি নিয়ে ঘোরে, আবার নাকি জনগণের নেতা। সর্বত্র বডি গার্ড নিয়ে ঘোরে। একজন আইনজীবী খবর দিলেন, গতকাল কোনও এক বাবু বলছেন, তিনি একটা জেলায় যাবেন, কোনও জনগণ না থাকেন, ভিড় না থাকেন! কোন হরিদাস পাল? আজ পুলিশ দেখতে যাবে, কোথায় লোক থাকবে আর থাকবে না! সাহস থাকে তো মানুষের কাছে যাও না। টাকা আছে বলে ভিডিয়ো করে সামাজিক মাধ্যমে, গদি মিডিয়ায় থাকতে পার, মানুষের জন্য উপযুক্ত নয়। কটা সিটে জিতেছিল। মহারাষ্ট্রে কটা সিটে জিতেছিল মনে আছে? তাই বাবুকে বলছি, আমি চেয়ারটাকে সম্মান করি, তাই কোন বাবু বলছি না, প্রথম বাবুও হতে পারে, দ্বিতীয় বাবুও হতে পারে, আবার বাচ্চারা চামচ দিয়ে দুধ খায়, সেই বাবুও হতে পারে, আমি কাউকে ইঙ্গিত করছি না। মনে রাখবেন, দালালি করারও একটা লিমিট রয়েছে।
-
‘আমি যা বলি তা দেখায় না, AI করে’
মমতা: ‘আমি যা বলি তা দেখায় না, AI করে’: অনেক অসংগঠিত সেক্টর রয়েছে, কেউ হকার, কেউ ছোটখাটো ব্যবসা করে, তাঁরাও ভাবছেন, নামটা বাদ যাবে না তো! পরিযায়ী শ্রমিকরাও এটা ভাবছেন! বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয় না। হিন্দি ভাষায় বলে সবাই পাকিস্তানি হয়ে যায় না। যে যেখানে কাজে যাচ্ছে, বাংলাদেশি অ্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতার সময়ে বিজেপি কোথায় ছিল? আমি যা বলি, সেটা দেখায় না। AI করে। আমার ছবি দেখাবে, আর অন্য কথা! বিজেপির তো লুঠের টাকা।
-
এটা বিজেপিকে তাড়ানোর লড়াই: অভিষেক
অভিষেক আরও বলেন, “ঠাকুর বাড়ির এলাকায় দাঁড়িয়ে আজ বলে যাচ্ছি, যাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে, তাঁদের শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর লড়াই নয়। বিজেপিকে তাড়ানোর লড়াই।”
-
লালকৃষ্ণ আদবানী ভোট দিতে পারবেন না? প্রশ্ন অভিষেকের
অমিত শাহের উদ্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘লালকৃষ্ণ আদবানীর তো করাচিতে জন্ম হয়েছিল, তাহলে তিনি ভোট দিতে পারবেন না?’ তিনি বলেন, ‘কোনও মতুয়া বা রাজবংশী ভাইকে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে বের করতে দেব না। আবেগ নিয়ে ওরা ছেলেখেলা করে, ধর্ম নিয়ে ওরা রাজনীতি করে।’
-
সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, সবার ভোটার তালিকায় নাম ছিল: অভিষেক
অভিষেক বললেন, “দিল্লির কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না। ১০০ দিনের মামলায় বাংলার মানুষের জয় হয়েছে। সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সবার ভোটার তালিকায় নাম ছিল। যাকে খুশি বাংলাদেশি বলে ডিপোর্ট করে দিচ্ছে। আগামিদিনে তৃণমূল দিল্লি যাবে। বাংলার ক্ষমতা সবাইকে দেখিয়ে আসবে। আগে মানুষ ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করছে। আজ মোদী সরকার পছন্দের ভোটার বেছে দিচ্ছে।”
-
দিল্লিতে গিয়েও মিছিলের হুঁশায়ারি অভিষেকের
অভিষেক মঞ্চে উঠে বললেন, ‘এসআইআর ঘোষণা করার পর সাতদিনে সহ নাগরিকদের হারিয়েছি। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। দুদিনের ব্যবধানে যদি আমরা এত বড় মিছিল করতে পারি, আগামী ২ মাসের মধ্যে দিল্লিতে গিয়েও মিছিল করতে পারে তৃণমূল। আমাদের ধমকে-চমকে ভাষণ দিয়ে কোনও লাভ নেই।’
-
জোড়াসাঁকোয় পৌঁছলেন মমতা
জোড়াসাঁকো পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মঞ্চ থেকে বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন বিভিন্ন ধর্মগুরুরা। রয়েছে টলিউডের তারকাদের একাংশ।
-
রেড রোডে হাজির মমতা-অভিষেক
শুরু হল মিছিল। এসআইআর-বিরোধী মিছিলে পা মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা। সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দেওয়া হয়েছে মিছিলে।
-
‘SIR মানব না’, মিছিলে যোগ দিয়ে বলছে অনুগামীরা
উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির সাধারণ মানুষ তথা অনুগামীরা যোগ দিয়েছেন মিছিলে। তাঁদের বক্তব্য, ‘এসআইআর মানব না। দিদির পথেই আমরা চলব।’ তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী ও শীর্ষনেতারা উপস্থিত থাকছেন সেই মিছিলে।
-
কোন পথে এগোবে মিছিল
দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হচ্ছে মিছিল। তার আগে রেড রোডে প্রস্তুতি শেষ। মিছিল আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল এগিয়ে যাবে রানি রাসমণি রোড হয়ে কেসি দাস মোড়, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে।
Published On - Nov 04,2025 1:57 PM
