Malda: ‘বাংলাদেশি প্রমাণিত হওয়ার পরও কেন ভারতে?’, এবার লাভলির পুশব্যাকের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠির ভাবনা বিজেপির
Malda: মালদহের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন লাভলি খাতুন। তখনই সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য, তৃণমূলের এক নেত্রী, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। তাঁরাই প্রথম অভিযোগ করেছিলেন, অবৈধভাবে লাভলি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁর মূল নাম নাসিয়া শেখ। তিনি বাংলাদেশের রাজশাহির বাসিন্দা।

মালদহ: প্রশাসনিক তদন্তে প্রমাণিত তিনি অনুপ্রবেশকারী। তবুও তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান লাভলি খাতুন রয়েছেন ভারতেই। এবার তাঁকে বাংলাদেশে ফেরানোর দাবি তুলল বিজেপি। ইতিমধ্যেই এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি করার ভাবনা রয়েছে বিজেপির।
মালদহের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন লাভলি খাতুন। তখনই সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য, তৃণমূলের এক নেত্রী, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। তাঁরাই প্রথম অভিযোগ করেছিলেন, অবৈধভাবে লাভলি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁর মূল নাম নাসিয়া শেখ। তিনি বাংলাদেশের রাজশাহির বাসিন্দা।
অভিযোগ, তিনি এপারে ঢুকে ভুয়ো নথি তৈরি করেছিলেন। আর সেই নথি দিয়ে এদেশে ভোটার কার্ডই কেবল না, নির্বাচনেও দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে এদেশে ভুয়ো পিতৃপরিচয়ও দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, টাকা দিয়ে এদেশে এক ব্যক্তির নাম নিজের বাবার নাম হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। মুস্তাফা নামে ওই ব্যক্তিকে নিজের বাবা সাজিয়েছিলেন তিনি। জাল সার্টিফিকেট দিয়েই এদেশে ওবিসি সার্টিফিকেটও জোগাড় করেছিলেন। এই বিষয়টি সামনে আসতেই সরব হয় বিজেপি। হাইকোর্টে মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে বিডিও, এসডিও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেন। বাতিল হয়ে যায় তাঁর প্রধানের পদ। ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়।
এরপর লাভলি খাতুনের আইনজীবী হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রিট পিটিশন করেন। তাও খারিজ হয়ে যায়। এরপর শুধু বিজেপি নয়, যাঁক বাবা সাজিয়েছিলেন, সেই মুস্তাফা, গ্রামবাসীরা, তৃণমূলের একাংশ এখন দাবি তুলেছেন, লাভলি খাতুন এখন কেন বাংলায়? তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি তুলছেন তাঁরা। পাশাপাশি বাংলাদেশে পুশব্যাক করার দাবিও উঠছে। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি করার ভাবনা রয়েছে বিজেপির।
লাভলির ভুয়ো বাবা মুস্তাফার ভাই আজাদ বলেন, “আমাদের ও সাক্ষীর জন্য ডেকেছিল, আমরা যাইনি। আমার দাদাকে মিথ্যা করে সাজিয়েছিল।” দক্ষিণ মালদহের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা আইনজীবী অম্লান ভাদুড়ির বক্তব্য, “আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাব, লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা উচিত। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানাতে বাধ্য হব।”
যদিও জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডুর বক্তব্য, “এটা একটা বিচারাধীন বিষয়। আদালত যা রায় দেবে, সেই অনুযায়ী নির্দেশিকা জারি হবে।”

