Malda: ‘ফোনের ওপারে অস্পষ্ট গলা, কখনও ২০০০ কখনও ১০’, পরে টাকা না দেওয়ায় চোকাতে হল চরম মূল্য

Malda: মালদার রতুয়া ১ ব্লকের বাহারাল গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম লাল্টু শেখ (৩২)। বাড়ি রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর সাহাপুর গ্রামে।

Malda: 'ফোনের ওপারে অস্পষ্ট গলা, কখনও ২০০০ কখনও ১০', পরে টাকা না দেওয়ায় চোকাতে হল চরম মূল্য
নিহতের পরিবারের সদস্যরা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 2:25 PM

মালদা: দিল্লিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরত আসা হল না। এক পরিযায়ী শ্রমিককে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। মৃত শ্রমিকের দেহ ঘরে নিয়ে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

মালদার রতুয়া ১ ব্লকের বাহারাল গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম লাল্টু শেখ (৩২)। বাড়ি রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর সাহাপুর গ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন বাবা শেখ সিকান্দার, মা মাইমুন বিবি, স্ত্রী জুলি বিবি এবং তিন বছরের ছেলে আড় দেড় বছরের মেয়ে। জুলি বিবি বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। মাসখানেক আগে লাল্টু নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে দিল্লি যান।

অভিযোগ, গত ১ জুন লাল্টু দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর স্টেশনে তাঁকে অপহরণ করা হয়। এরপর তাঁর মোবাইল ফোন থেকে বাড়িতে ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে কেউ হিন্দি ভাষাতেই কথা বলছিল। প্রথমে ২০০০, পরে ১০ হাজার, শেষে ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু লাল্টুর সঙ্গে কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি এমনটাই দাবি পরিবারের।

দু’দিন পর পরিবারের লোকজন টাকা পাঠাতে রাজি হন। টাকা নিয়ে এলাকার ছ’জন ফতেপুরের উদ্দেশে রওনাও দেন। কিন্তু ফতেপুর পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ফোনে খবর দেয়, লাল্টুর মৃতদেহ তাঁরা উদ্ধার করেছে। এই বিষয়ে সিকান্দার শেখ বলেন, ‘গত মাসের ৬ তারিখে ছেলে দাদনে দিল্লিতে কাজ করতে গিয়েছিল। দিল্লিতে ছেলের সঙ্গে অন্য শ্রমিকদের কোনও কারণে মারামারি হয়। মোবাইলে ছবি দেখা নিয়ে সেই বিরোধ। মার খেয়ে ছেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর স্টেশন থেকে ছেলেকে কেউ বা কারা তুলে নিয়ে যায়। ১ জুন ও কাজের জায়গা থেকে বেরিয়েছিল। ৪ তারিখ থেকে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরই মধ্যে ওর মোবাইল ফোন থেকে কেউ হিন্দি ভাষায় আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। দাবির অঙ্ক সময় সময়ে বাড়তে থাকে। কিন্তু ওরা ছেলেকে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি। ছেলের কথা জিজ্ঞেস করলেই বলছিল, লাটু নাকি খুব অসুস্থ। শেষ পর্যন্ত ৬ জুন ওখানকার পুলিশ ফোন করে আমাদের জানায়, লাটু শেখের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ছেলের মৃত্যু নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। কারণ, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ বলেছে, ওকে খুন করা হয়েছে। এ দিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।