Maldah: কলা চাষেও দুর্নীতির অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 18, 2021 | 9:21 AM

Trinamool Congress: অভিযোগ প্রধান ও উপপ্রধান ওই এলাকার উপভোক্তাদের প্রাপ‍্য অর্থ না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন।

Maldah: কলা চাষেও দুর্নীতির অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান
উদ্যান পালনে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

মালদহ: উদ্যান পালনে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান (TMC Leader), উপপ্রধানের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এ সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বিডিওর কাছে। যদিও অভিযুক্ত প্রধানের বক্তব্য, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।

উদ্যান পালন বিভাগের এক প্রকল্পে কলা বাগানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়াল শাসকদলের নেতার। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান হিসাব দেখিয়েছেন, লক্ষ লক্ষ টাকার কলাগাছ লাগানো হয়েছে। এদিকে চাষীদের সম্পূর্ণ বঞ্চিত করে সেই লক্ষাধিক টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে চাঁচল-১ ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলম চাঁচলের মহকুমা শাসক দফতরে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক কল্লোল রায়। চাঁচল-১ ব্লকের বিডিওর সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে এমনই আশ্বাস কল্লোল রায়ের।

প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ‍্যানপালন বিভাগে কলাচাষ করে চাষিরা যাতে স্বনির্ভর হতে পারেন, সে কারণে এমজিএনআরইজিএস (MGNREGS) প্রকল্পে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রায় ৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৮২ টাকা করে উদ্যানপালন বিভাগ বরাদ্দ করেছিল। খরবা পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন সংসদের চাষিরা সেই সুযোগও পান। এদিকে এরপরই দেখা যায় সাহাবাজপুর সংসদেও কয়েকজন কৃষক এই প্রকল্পের আওতাধীন হন।

অভিযোগ প্রধান ও উপপ্রধান ওই এলাকার উপভোক্তাদের প্রাপ‍্য অর্থ না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। পঞ্চায়েত আধিকারিক ও কর্মীদের মদতেই প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা মুরতুজ আলমের। তিনি বলেন, “এলাকায় হর্টিকালচার প্রকল্পের কলাচাষ হলেও উপভোক্তারা তাদের প্রাপ‍্য পায়নি। জমিতে বর্তমানে কলা গাছের দেখা নেই। বিকল্প ফসল চাষ বেছে নিয়েছেন কৃষকরা। প্রাপ্র‍্য পেলেও তা হাতে গোনা। পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে গুরুত্ব পাওয়া যায় না।” অন্যদিকে গোটা ঘটনাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সইমুদ্দিন।

প্রধান সইমুদ্দিন বলেন, “এসব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। বিরোধীদের যে নেতা এসব বলছেন, উনি তো কোনও মিটিংয়েও আসেন না, কোনও কিছুতে থাকেনও না। তবে আমি এ টুকু বলতে পারি আমাদের উদ্য়ানপালনের বেশির ভাগ প্রকল্পেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের বর্তমান প্রকল্প ৩০৯টি। মানুষ তার উপকার পেয়েছেন। সম্প্রতি জয়েন্ট বিডিও সাহেব নিজেও ঘুরে দেখেছেন। এসব অভিযোগ নিয়ে আর বলার কিছু নেই। এসডিও সাহেব, বিডিও সাহেব যা তদন্ত করার করবেন।”

আরও পড়ুন: Big News: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নন্দীগ্রাম! নিহত এক নাবালিকা, আশঙ্কাজনক ১

Next Article