Big News: ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নন্দীগ্রাম! নিহত এক নাবালিকা, আশঙ্কাজনক ১
Nandigram Blast: শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কালীচরণপুর-১ অঞ্চলে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
পূর্ব মেদিনীপুর: বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নন্দীগ্রাম (Nandigram Blast)। শুক্রবার রাতের এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক নাবালিকার। জখম হয়েছে আরও দুই শিশু। একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর-১ অঞ্চলের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
কালীচরণপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির জাদুবাড়ি চক। সেখানে জাকির শা নামে এক ব্যক্তির একটি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা আটটা নাগাদ এলাকার তিন শিশু খেলার সময় ওই বাড়িতে ঢোকে। সেখানেই বল ভেবে একটি গোলাকার বস্তুকে হাতে তুলতেই ভয়ঙ্কর শব্দে সেটি ফেটে যায়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। ওদিকে তিন শিশুর চিল চিৎকার শুনে ছুটে আসেন বাড়ির লোকজন। প্রতিবেশীরাও ভিড় করেন।
ততক্ষণে ওই বাড়ির সামনের জায়গা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ন’ থেকে দশ বছরের মধ্যে এক নাবালিকা মাটিতে পড়ে ছটফট শুরু করে। স্থানীয়রা কোনও মতে তাঁকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয়। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাকি দু’জনের মধ্যে একজনের মাথায় চোট লাগে। অপরজনের আঘাত গুরুতর। পায়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। তাঁকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পায়ে ব্যান্ডেজের পাশাপাশি অক্সিজেনও দিতে হয়েছে।
এই ঘটনায় কালীচরণপুর অঞ্চল প্রধান শেখ সোয়েব গাজি বলেন, “আমার অঞ্চলের মধ্যেই জাদুবাড়ি চক এলাকা পড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে এক অঘটন ঘটে। যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে তা জাকির শা-এর বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এ বাড়ির মালিক অনেকদিন ধরেই এখানে থাকেন না। বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। সেখানে কেউ বা কারা বোমা রেখে যায়। ছোট বাচ্চারা খেলতে গিয়ে সেটিকে হাতে তুলে ফেলে। ওরা যেহেতু বাচ্চা বোমা না বল তা বুঝতে পারেনি। এরপরই বোমাটি হাত থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। দু’জন গুরুতর আহত হয়। একই সঙ্গে জাহিরুন খাতুন নামে এক ৯ থেকে ১০ বছরের নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই মারা গিয়েছে। অন্যজনের অবস্থাও খুবই খারাপ। এভাবে একটা অঘটন হয়ে গিয়েছে। যে বা যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিক।”
আরও পড়ুন: Unknown Fever: উৎসবের বাংলায় এ কোন বিপদের ঘনঘটা! ১৪ জেলায় আক্রান্ত ১৩০০’র বেশি শিশু