মালদা: সামান্য একটা বাঁশের খুঁটি পোতাকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত। তা উঠেছিল চরমে। ভাইয়ের সঙ্গে দাদার এই ইস্যুতে ঝামেলা হত মাঝেমধ্যেই। পড়শিদের মধ্যস্থতায় তা মিটেও যেত। কিন্তু মঙ্গলবার সেটাই ফের চরমে ওঠে। প্রতিবেশীরা আটকানোর আগেই সব শেষ। ভাইকে বাঁশ দিয়েই এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন দাদা। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপে ধরে। ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সোনাকুল গ্রামে। নিহতের নাম জাহাঙ্গির আলম (৫২)।
ওই ঘটনায় পুলিশ তাঁর তুতো দাদা মূল অভিযুক্ত মতিউর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে সাফাতুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাহাঙ্গির ও তুতো-দাদা মতিউর রহমানের বাড়ি পাশাপাশি। শরিকি রাস্তা এবং সীমানা প্রাচীর ঘিরে দুই পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিবাদ। এদিন ওই রাস্তা দিয়ে জাহাঙ্গির ইঁট নিয়ে বাড়ির পিছন দিকে যেতে চাইলে গণ্ডগোল বেঁধে যায় দুই পরিবারের।
মঙ্গলবার রাত থেকে দুই পরিবারের বচসা শুরু হয়। জাহাঙ্গিরের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। প্রথমে একান্ত পারিবারিক বিবাদ ভেবে তাতে বিশেষ আমল দেননি পড়শিরা। কিন্তু পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি হয়ে যাওয়ায়, তাঁরা বচসা মেটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারই মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই ভাই। অভিযোগ ওই সময় জাহাঙ্গিরকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁর মাথা, নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। এরপর প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন জাহাঙ্গির। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, জাহাঙ্গির সেসময় বাঁচার আর্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও ক্ষ্যান্ত হননি দাদা। অভিযোগ, মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুরের পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মতিয়ুর পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকা থমথমে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “একই পরিবারের লোক ওরা। কিন্তু মাঝেমধ্যেই কিছু না কিছু বিষয়ে ঝগড়া হতই। এটা এতই ঘনঘন হত, লোকে আর সেভাবে নাক গলাত না। কিন্তু তা বলে মেরে দেবে, কে ভেবেছিল!”
আরও পড়ুন: Canning News: বিয়ে হয়েছে চার মাস, বউ বরের থেকে নিজের বাবার সঙ্গেই থাকে বেশি… চরম সিদ্ধান্ত যুবকের