AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Maldah: পুড়ে খাক হয়েছে সর্বস্ব, ভোট মিটতেই বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর থেকে মুখ ফিরিয়েছেন নেতারা

Maldah: রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের দু’মুখো নীতি দেখতে পাচ্ছেন একসময় গঙ্গা ভাঙনে ভিটেছাড়া জঞ্জালিটোলার বাসিন্দারা৷ তাঁরাই বলরামপুরে অস্থায়ী বসতি নির্মাণ করেছেন৷

Maldah: পুড়ে খাক হয়েছে সর্বস্ব, ভোট মিটতেই বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর থেকে মুখ ফিরিয়েছেন নেতারা
আগুনের গ্রাসে সর্বস্ব হারিয়েছেনImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 19, 2024 | 3:08 PM
Share

মালদহ: ভোট মিটতেই বন্ধ খাবার, কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। গায়েব নেতারা, গায়েব প্রতিশ্রুতি, গায়েব সমবেদনার ফুলঝুরি। না খেয়ে অর্ধাহারে রোদে গরমে বাঁধের ধারে পড়ে রয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। অথচ কথা ছিল, বিধ্বংসী আগুনে সর্বস্ব খুইয়ে পথে এসে দাঁড়ানো শতাধিক ভাঙন পিঁড়িত পরিবারকে রোজ দু’বেলা খাবার দেওয়ার, তাঁদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার। ভোটের ঠিক আগে পর্যন্ত এসব দেওয়া হলেও ভোট মিটতেই এখন আর নেতা-মন্ত্রীদের সময় নেই, প্রয়োজন নেই সরকারি কর্তাদেরও৷ তাই কাঠফাটা গরমে গনগনে ত্রিপলের নীচেই ছেলেমেয়ে নিয়ে দিন পার করছেন তাঁরা৷

মানুষগুলো রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা৷ গত ১ মের দুপুরে আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় শতাধিক পরিবারের সর্বস্ব৷ সেদিন চোখের সামনে ছাই হতে দেখেছিলেন ঘরের যাবতীয় কিছু৷ শরীরের পোশাকটুকু ছাড়া কিছুই বাঁচানো যায়নি। ঘর ছেড়ে ছুটে পালাতে না পারায় জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধা বীণাপাণি মণ্ডলের৷

ভোটের মুখে অগ্নিকাণ্ডে বিধ্বস্ত পরিবারগুলি যাতে ভোটদান থেকে সরে না যায়, তার জন্য তৎপরতা৷ ব্লক প্রশাসনের তরফে দুর্গতদের খাবার দেওয়া শুরু হয়েছিল৷ দেওয়া হয়েছিল অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ৷ সব কাজই হয়েছিল চোখের পলকে৷ কিন্তু ৭ মে ভোট মিটতেই সব বন্ধ। খাওয়ার আর আসে না। অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিতেও কেউ আর যায় না। নেতাদের কাছে গেলেও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এখন খোলা আকাশে নীচে গাছতলায় ঠাঁই কিংবা ত্রিপলের নিচে প্রচণ্ড গরমে দিন গুজরান।

রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের দু’মুখো নীতি দেখতে পাচ্ছেন একসময় গঙ্গা ভাঙনে ভিটেছাড়া জঞ্জালিটোলার বাসিন্দারা৷ তাঁরাই বলরামপুরে অস্থায়ী বসতি নির্মাণ করেছেন৷ তাঁদের একজন সুকুমার মণ্ডল বলেন, “আমাদের আর কিছুই নেই৷ সব হারিয়ে ত্রিপলের নীচে বসবাস করছি৷ ভোটের আগে আগুন লাগার পর সবাই এসেছিল৷ নেতা-মন্ত্রী তো বটেই, এসেছিলেন বিডিও নিজেও৷ তাঁরা আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ বিডিও নিজে আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন৷ বিদ্যুতের ব্যবস্থাও হয়েছিল৷”

আরেক দুর্গত মমতা মণ্ডল বলেন, “সেদিন ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারিনি৷ একমাত্র শরীরের পোশাকটা ছাড়া সব জ্বলে গিয়েছে৷ এখন বাচ্চাদের নিয়ে ত্রিপলের তলাতেই থাকছি৷  ভোটের আগে খাবার দিয়েছিল৷ ভোট পেরোতেই খাবার বন্ধ৷ বিদ্যুতের সংযোগও কেটে দিয়েছে৷ শুধু একটি করে ত্রিপল দিয়েছে৷ ভোটের পর কেউ এলাকায় আসেননি৷ নেতা-মন্ত্রী, বিডিও কিংবা কোনও সরকারি কর্মীকে এখানে আর দেখা যায়নি৷ আমরা চাই, আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক৷”