AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Maldah: কুইন্টাল প্রতি ৫ কেজি ‘কাটমানি’, বস্তা বস্তা ধান রাস্তায় ছড়ালেন চাষিরা

Maldah: যদিও জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে। চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের।

Maldah: কুইন্টাল প্রতি ৫ কেজি 'কাটমানি', বস্তা বস্তা ধান রাস্তায় ছড়ালেন চাষিরা
রাস্তায় ঢাললেন ধানImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2023 | 3:52 PM
Share

মালদহ:  ধানের বস্তা ফেলে রাস্তায় ধান ছড়িয়ে বিক্ষোভ চাষিদের। দূর দূরান্ত থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে এসে ভোগান্তির সম্মুখীন চাষিরা। সার্ভার সমস্যায় হয় না ধানের বিক্রি। আবার ধান বিক্রি করতে প্রতি কুইন্টালে দিতে হচ্ছে ৫ কেজি ধান যা গ্রাম্য ভাষায় বলে ধলতা। এরই প্রতিবাদে ধান রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। বিষয়টি নিয়ে ইস্যু করেছে বিজেপি। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটল এলাকায় সরকারি ধানক্রয় কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ।

এক কুইন্টাল ধান বিক্রির জন্য দিতে হচ্ছে ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান। চাষিদের অভিযোগ যা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে ধান ক্রয় কেন্দ্রের সামনে ধান ফেলে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। প্রশ্নের মুখে মিলারদের (রাইস মিল) ভূমিকাও। ৫ কেজি ধান তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য, খাদ্য দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়েছে বিজেপিও।

যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। চাষিদের অভিযোগ, তারা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন ধান বিক্রির জন্য। ধান নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট ভাড়াও খরচ হয়েছে।এই ধান বিক্রির অর্থের ওপর নির্ভর করে তাঁরা পরবর্তী চাষের খরচ যোগান। কিন্তু সকাল থেকে বসে থেকেও তারা বিক্রি করতে পারছেন না ধান। কারণ ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রের ম্যানেজার জানাচ্ছেন, মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা রয়েছে। যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখিন হন চাষিরা।

যদিও জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে। চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের। অর্থাৎ ওই সরকারি কেন্দ্রে ধান ক্রয় করছেন যে রাইস মিল মালিকরা তাঁরাই এই ধলতা নিচ্ছে। কিন্তু প্রতি কুইন্টালে এই অতিরিক্ত পাঁচ কেজি ধান দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। এতে আধিকারিকদেরও যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা।

এদিকে সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতারা এখান থেকেও কাটমানি নেন। তাই ৫ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হচ্ছে। প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও খোঁচা। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, “চাষিদের কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ভাবে। তাই ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। সমস্যা হলে সেটা মিল মালিকদের বলা হবে।”