Maldah TMC Murder: তৃণমূল নেতাকে অপহরণ, মুক্তিপণ না দিতে পারায় ‘খুন’
Maldah TMC Murder: বুধবার সকালে দেহ উদ্ধার করে গ্রামে গেলে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতের নাম সাদেক আলি। তাঁর বাড়ি মালদহের রতুয়ার শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতোর গ্রামে।
মালদহ: এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন। আর তা না দিতে পারাতেই মালদহে অপহৃত তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ। বুধবার সকালে মালদহের রতুয়ায় তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁর স্ত্রীও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাদেক আলি। তাঁর বাড়ি মালদহের রতুয়ার শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতোর গ্রামে। বুধবার সকালে দেহ উদ্ধার করে গ্রামে গেলে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নিজের গ্রামেরই চায়ের দোকানে দাঁড়িয়েছিলেন সাদেক। তারপর তাঁকে কেউ ডেকে নিয়ে যান। পরিবারের দাবি, সাদেকের মোবাইল থেকেই রাত একটা নাগাদ একটা ফোন আসে। সেখানে বলা হয় সাদেককে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁকে পেতে গেলে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে থানায় বিষয়টি জানিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। রাত দুটো নাগাদ আবারও একটা ফোন আসে। পরিবারের দাবি, মুক্তিপণের পরিমাণ বেড়ে হয় ২ লক্ষ টাকা।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বুধবার দুপুরে গ্রামেরই রাস্তার ধার থেকে সাদেকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর সারা শরীরে ক্ষত ছিল। তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। পরিবারের এক সদস্যের দাবি, “পুলিশকে আমরা রাতেই সবটা জানিয়েছি। যদি তখনই কোনও পদক্ষেপ করত, তাহলে এমনটা হত না।” এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এখনই এই নিয়ে কিছু বলতে চাইছে না।