মালদা: বিহারে কাজ করতে গিয়ে গুলি করে খুন পরিযায়ী শ্রমিক। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বাঁচানো যায়নি আর। অবশেষে মর্মান্তিক হল ওই শ্রমিকের।
মৃত শ্রমিকের নাম শামীম আক্তার। মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরের কাওয়ামারী গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় জামাল নামে পরিচিত। বাড়িতে সে ছাড়াও তিন ভাই এবং এক বোন রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে তাঁর স্ত্রী, কন্যা সন্তান এবং বৃদ্ধা মা। অভাবের সংসার। হরিশ্চন্দ্রপুরে বোলারো গাড়ি চালাত সে। কিন্তু লকডাউনে তেমন ভাবে ভাড়া না পাওয়ায় বিহারের পাটনার আস্তানা এলাকায় যায় পাইপ পুশিংয়ের কাজ করতে। পাশাপাশি আশে পাশের এলাকার আরও কয়েকজন ছিল। কাজ চলছিল এবং বাড়ির সঙ্গেও কথা হতো। তিনদিন পর তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ফেরা হলো না।
বিপত্তি ঘটল গতকাল রাত্রে। কাজ থেকে ফেরার সময় কেউ বা কারা শামীমকে গুলি করে। জানা যায়, তার শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর বাড়িতে আসতেই শোকে বিহল হয়ে পরে পরিবার। পরিবার সূত্রে জানা যায় শামীম অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কোনও কারণ নিয়ে তার সঙ্গে কারোর ঝামেলা ছিল না। তাই কারা তাঁকে খুন করল বুঝতে পারছে না পরিবারের লোকজন। তবে, যারাই করুক তাদের যাতে কঠোরতম শাস্তি হয় সেই দাবি জানাচ্ছে শামীমের মা,ভাই,স্ত্রী সকলেই। সঙ্গে অভাবের সংসার চলবে কি করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে তারা।
এদিকে খবর পেতেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসেন এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন এবং মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। আর্থিক দিক থেকে শুরু করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন বিধায়ক তজমুল। সঙ্গে তিনি জানান দোষীদের শাস্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। এদিকে এই নিয়ে পালটা সমালোচনায় নেমেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Kharagpur Accident: বেআইনি পার্কিংয়ে ঢুকছিল ম্যাটাডোর, চাকায় পিষে শেষ ৩ শিশুর জীবন