Maldah Blast: কালিয়াচকে বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যসচিব, ডিজিকে চিঠি শিশু সুরক্ষা কমিশনের
Maldah: মালদহের ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী সোমবারই এনসিপিসিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন।
মালদহ: কালিয়াচকের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চার তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জের গোপালনগরে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয় পাঁচ শিশু। দুই জার ভর্তি বোমাও উদ্ধার করা হয়। যে জায়গা থেকে এই জার ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়, সেটি স্থানীয় তৃণমূল নেতার জমি। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিলেন ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস বা এনসিপিসিআরের (NCPCR) চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়েই এই চিঠি বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, চিঠিতে বলা হয়েছে, ঘটনার যথার্থ তদন্ত করা হোক। কী কারণে এই বোমা মজুত ছিল তার কারণ খুঁজে বার করুক পুলিশ। একই সঙ্গে এনসিপিসিআর জানতে চায়, এই বোমা বাইরে থেকে সেখানে আনা হয়েছিল নাকি ঘটনাস্থলেই তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তদন্তও করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই এনআইএ বা সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে।
মালদহের ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী সোমবারই এনসিপিসিআরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন। এরপরই তিনি জানান, “কালিয়াচক থানার গোলাপগঞ্জে আমরা বারবার এই ধরনের ঘটনা দেখেছি। এখানে হঠাৎ হঠাৎ বোমা উদ্ধার হয়। সেই বোমা বিস্ফোরণের পর বলা হয় এগুলি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে যেন বোমা তৈরির কারখানা। আমাদের এলাকাগুলিতে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ নিশ্চয়ই বাড়ছে। না হলে এত বোমা কেন উদ্ধার হবে? আমি আবেদন করছি এই বিষয়গুলি আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। রাজ্য সরকারের উচিৎ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করা এবং যথাযথ ধারায় মামলা করে তদন্ত করা।”
রবিবার দুপুরে হঠাৎই বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোপালনগর গ্রাম। বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয় আহত রেহান শেখ (৪), সুবল সাহা (৬), বিক্রম সাহা (৮), শুভজিৎ সাহা (৯), মিঠুন সাহা (১০)। খবর পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনাস্থলে নিয়ে তল্লাশি শুরু করতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা শরিফ হোসেনের কাকার জমি থেকে দু’ জার বোমা উদ্ধার হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমানের অভিযোগ, “বারবার এলাকায় ঝামেলা করার চেষ্টা করে শরিফ হোসেন। এই বোমাও ওরই রাখা। শরিফের কাকার জমি থেকে বোমা পাওয়া গিয়েছে। শরিফই বোমা রেখেছে। ওরা নিয়মিত এলাকা দখলে রাখতে ঝামেলা করে।” যদিও গোলাপগঞ্জের যুব তৃণমূল সভাপতি শরিফ হোসেন বলেন, “এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। কেউ শত্রুতা থেকে এসব বলছে।”