মালদা: বাড়িতে থাকেন বাবা-মা ও দুই ছেলে। এই নিয়েই চলছিল সংসার। কিন্তু হঠাৎই গতকাল সব যেন পাল্টে গেল ক্ষনিকের মধ্যে। শান্তির সংসারে ঘনিয়ে এল অশান্তির কালো মেঘ। পাড়ারই একদল যুবক ঘরে ঢুকে হুমকি দিল ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে। সঙ্গে চলল মারধর। ছেলে বাধা দিতে যাওয়ায় মাটিতে ফেলে চলল তাকেও মারধর। এরপরেই সেই যুবকের ঘরে ঢুকে আত্মহত্যার চেষ্টা।
ঘটনাস্থান মালদার (Malda) ইংরেজবাজার শহরের পুরাটুলি এলাকায়। বিশ্বজিৎ দাস নামে ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্বজিতের মা আলপনা দাস এই ঘটনায় শহরেরই রামকৃষ্ণ মিশন এলাকার এক যুবক গৌরব চৌধুরী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কী ঘটেছিল?
আলপনা দেবীর অভিযোগ, গত সন্ধে নাগাদ গৌরব চৌধুরী দলবল নিয়ে এসে তাদের বাড়িতে ঢোকে। তাঁরা প্রথমে তাঁর বৃদ্ধ স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। সেই সময় তাঁর ছোটো বাধা দিতে এলে ছেলে বিশ্বজিৎকে বেধড়ক মারধর করে। শুধু তাই নয় তাঁকে শ্বাসরোধ করে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। পরে ফের তাঁরা বাড়িতে চড়াও হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। আলপনা দেবী মনে করছেন টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কোনও ঘটনার জন্য ওরা বাড়িতে হামলা চালায়।
আলপনা দেবীর দাবি, ওই যুবকরা চলে যাওয়ার পরই তার ছোটো ছেলে বিশ্বজিৎ দাস নিজের ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করে এবং মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিশ্বজিতের মেজদা সান্টু দাসের অভিযোগ, গৌরব চৌধুরী ও তার দলবলের মারধর এবং হুমকির জেরেই তাঁর ভাই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সান্টু দাস বলেন, “আমার ভাইয়ের মোবাইলের দোকান রয়েছে। হয়ত টাকা-পয়সার জন্যই এই হামলা হয়েছে। গতকাল বাড়িতে বাবা-মা আর ভাই ছিল।তখনই হঠাৎ বাড়িতে চড়াও হয় গৌরব চৌধুরীর দলবল। ঘরে ঢুকেই ওরা বাবা-মাকে মারতে শুরু করে। ভাই যখন বাধা দিতে আসে ভাইকেও মারতে থাকে ওরা। ওরা চলে যেতেই ভাই ঘরে ঢুকে আত্মহত্যা করতে যায়। পরে বাবা-মা পাড়া প্রতিবেশী মিলে ওকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করে।” ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Howrah: এবার হাওড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু তৃণমূল নেতার!