Malda: আবাস আশায় ভেঙেছে ঘর, দু’কূল হারিয়ে হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দাদা ও স্বামীর সঙ্গে পথে বৃদ্ধা
Malda: হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় ক’দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধা। তখনই এলাকার কিছু মানুষ একটা ত্রিপল এনে একপাশে টাঙিয়েও দেন। কিন্তু, সেখানে একসঙ্গে তিনজনের জায়গা তো হচ্ছে না।
মালদহ: আটকে গিয়েছে আবাসের টাকা। লোকসভা ভোটের মুখে এখনও তা নিয়ে শোরগোল চলছে রাজ্য-রাজনীতির আঙিনায়। কিন্তু, কারও খেয়াল নেই ইংরেজবাজার পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবপুর মনসাতলা এলাকায় থাকা দুই বৃদ্ধ ও এক বৃদ্ধার দিকে। আবাস যোজনার ঘরের জন্য প্রথম ধাপের টাকা এসেছিল। তা দিয়ে একটুকরো টালির ছাদের ঘর ভেঙে নতুন ঘর তৈরির তোড়জোড়ও শুরু হয়েছিল। এরইমধ্যে আটকে যায় বাকি টাকা। তাতেই ওই দুই বৃদ্ধ ও এক বৃদ্ধার ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। কনকনে ঠান্ডাতেও ওইভাবেই কাটছে দিন। চাদর, সোয়েটার সবই ভিজে যাচ্ছে কুয়াশায়। আগুন জ্বালিয়ে কাটাতে হচ্ছে রাত। ফের প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা। পথেই দিন কাটছে বিমল দত্ত, তাঁর বোন স্বপ্না চৌধুরী এবং স্বপ্না চৌধুরীর স্বামী লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরীর।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় ক’দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধা। তখনই এলাকার কিছু মানুষ একটা ত্রিপল এনে একপাশে টাঙিয়েও দেন। কিন্তু, সেখানে একসঙ্গে তিনজনের জায়গা তো হচ্ছে না। ফলে কাউকে না কাউকে থাকতেই হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।
এলাকাতেই ছোট ফালি টালির ঘর ছিল তাঁদের। আবাস যোজনায় নতুন ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন ওঁরা। তালিকায় নামও উঠেছিল শেষ পর্যন্ত। বরাদ্দ হয়েছিল ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। তারমধ্যে প্রথম ধাপে এসেছিল ৪৫ হাজার টাকা। তা দিয়েই পুরনো ঘর ভেঙে নতুন ঘর তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। কিন্তু, বাকি টাকার আর দেখা মেলেনি। ফলে ঘর হারিয়ে পথে গোটা পরিবার। যন্ত্রণার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় বুঝে যাচ্ছে চোখ। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সরকার, স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।