মালদা: জেলায়-জেলায় থামছে না তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা, আর তারপরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ওঠে চরমে। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দৌলতনগর এলাকায়।
মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ দৌলতনগর এলাকায় তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলায় ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত প্রায় ১৭ টি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানে যান চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় দাস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মহম্মদ নজীব ও তার দলবদলের সঙ্গে বর্তমানের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পিন্টু যাদব এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহম্মদ সামায়ুনের দলবদলের মধ্যে তুমুল গোলমাল শুরু হয়। প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়ে তারা। তারপর শুরু হয় হাতাহাতি। এরপরই দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই হামলার ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশি টহলদারি শুরু হয়েছে।
এই বিষয়ে জেলা বিজেপির জেলা সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেন, “গণতন্ত্র আজকে ভূলুন্ঠিত। রামপুরহাটের পাশপাশি একাধিক জায়গায় এই ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে ঠিকই কিন্তু তারপর থেকেই একাধিক জায়গার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখা দিয়েছে। এই গ্রামের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। ওরা নিজেরাই নিজেদের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। তখন থেকেই অরাজকতার সূচনা হয়। আজ সেই ঝামেলা এই জায়গায় পৌঁছাল।” অন্যদিকে, মালদা জেলা তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “এটি মনে হয় কোনও গ্রাম্য বিবাদ। যদি মনে হয় নিজেদের মধ্যে লড়াই। তাহলে তা ওই এলাকার ব্লক প্রেসিডেন্ট ও এমএলএ-কে জানান হবে। তারাই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।”
আরও পড়ুন: Bachchu Hansda: মন্ত্রী হয়েছিলেন একবার, বাচ্চু হাঁসদার বাড়ি দেখলে চমকে যাবেন আপনিও
আরও পড়ুন: Farakka Bomb Recover: রাস্তার পাশেই রেখেছিল ১৭ তাজা বোমা, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বলল…