Bachchu Hansda: মন্ত্রী হয়েছিলেন একবার, বাচ্চু হাঁসদার বাড়ি দেখলে চমকে যাবেন আপনিও
Tapan: গত বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বাচ্চু। যদিও, বেশিদিন তিনি ছিলেন না গেরুয়া শিবিরে।
তপন: বাড়ি বিতর্কে তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী। এই প্রথম নয়, এর আগেও এই একই বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। আবারও একবার বাড়ি বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা বাচ্চু হাঁসদা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের কড়ই চেঁচড়া গ্রামের মধ্যে এখনও জ্বল-জ্বল করছে তাঁর বাড়ি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বাচ্চু। যদিও, বেশিদিন তিনি ছিলেন না গেরুয়া শিবিরে। ফের তৃণমূলে ফিরে আসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে তাঁকে তৃণমূলে আর নেওয়া হয়নি। যার ফলে বর্তমানে কোনও দলেই সক্রিয় ভাবে দেখা যায় না বাচ্চু হাঁসদাকে। বর্তমানে নিজের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন তিনি।
একসময় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল বাচ্চু হাঁসদার বিরুদ্ধে। প্রাইমারি থেকে হাইস্কুলে শিক্ষকদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় গত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে দল টিকিট দেয়নি। আর টিকিট না পেয়েই কলকাতায় বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি।
এদিকে রাজত্ব ও রাজপাট চলে গেলেও এখনও বাড়ি রয়েছে গিয়েছে প্রাক্তন এই মন্ত্রীর। তপনের প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামে বাড়ি বাচ্চু হাঁসদার। ২০১১ সালে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। বিধায়কের পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর জেলা ডিপিএসসির চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। ২০১৬ রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী করেন।
এদিকে, বিধায়ক হওয়ার সময় থেকেই নিজ গ্রামে বাড়ি তৈরি করেন। যা মন্ত্রী হওয়ার পর শেষ হয়। বাচ্চু হাঁসদার গ্রামে তৈরি করা বাড়ি নিয়ে জোর বির্তক তৈরি হয়। রাজপ্রাসাদ সমতূল্য বাড়ি করতে কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলেই খবর ৷ প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি নিয়ে একাধিকবার সরব হয় বিরোধীরাও।
এদিকে বাচ্চু হাঁসদার বাড়ি পাশেই বহু দুঃস্থ মানুষের বাস। তাঁদের বেশির ভাগেরই জোটেনি সরকারি বাড়ি । অথচ সেই একই গ্রামে প্রাক্তন মন্ত্রীর বাস। কিছু লোক সরকারি বাড়ি পেয়েছেন কিন্তু তাঁরা প্রাক্তন মন্ত্রীর খাস লোক বলেই পরিচিত। এমনকী অনেকে চাকরি পেয়েছেন। তাঁরাও মন্ত্রীর খাস ছিলেন।
ফের একবার তৃণমূল নেতাদের বাড়ি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। বিশেষত বগটুই কাণ্ডের পর এনিয়ে সরব হয়েছে বামফ্রন্ট। যদিও বিষয়টি নিয়ে TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে কোনও রকম মুখ খোলেননি বাচ্চু হাঁসদা। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন বিধায়ক হিসেবে যা পেতেন সেই দিয়েই বাড়ি বানিয়েছেন (সমস্তটা মিলিয়ে বিধায়কের মাসিক বেতন ৮২ হাজার ৬০০ টাকা)। অনেকে আরও অনেক কিছু করেছে কিন্তু তাঁর বাড়ির দিকেই সকলের নজর৷
গোটা বিষয়টিতে গ্রামবাসী থেকে বামফ্রন্ট বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। যদিও, এই বিষয়ে বিজেপি নেতা বলেন, “এই ইস্যুটি নতুন নয়। আসলে বামপন্থীদের হাতে এখন আর কোনও ইস্যু নেই। সেই কারণে তারা বিষয়টি নিয়ে ফের সরব হয়ে প্রচারে থাকতে চাইছে আর কিছুই নয়।” অন্যদিকে, এক গ্রামবাসী বলেন, “আমরা ঘর পাইনি। বেছে কিছু মানুষ ঘর পেয়েছেন। যাঁরা ওনার কাছের মানুষ তাঁরা বাড়ি-ঘর পেয়েছেন।” বাম নেত্রী সুচেতা বিশ্বাস বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই এই দুর্নীর্তি নিয়ে আমরা আন্দোলন করে আসছি। যাদের প্রয়োজন তারা বাড়ি পাচ্ছেন না।”