AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার কার্যালয়

Malda: একসময় মালদহ শহরে তৃণমূলের টাউন সভাপতি ছিলেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। কাউন্সিলরও ছিলেন। মালদহের ঝলঝলিয়া এলাকায় রেলের জায়গায় তৃণমূলের এই ওয়ার্ড অফিস মূলত তাঁর কার্যালয় ছিল।

Malda: বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার কার্যালয়
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার কার্যালয়Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 03, 2025 | 5:33 PM
Share

মালদহ: মালদহ শহরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের ওয়ার্ড অফিস। এই অফিসটি তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির কার্যালয় হিসেবেই এতদিন পরিচিত ছিল। তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে জড়িত অভিযোগে এখন জেলে রয়েছেন তিনি। তাঁর কার্যালয় এদিন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল রেল। রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে একাজ করল তারা। রেলের ওই জায়গায় তৃণমূল নেতার কার্যালয় ছাড়াও আরও অনেক বাড়ি রয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সেগুলি ভাঙতে বাধা দিলেও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতার কার্যালয় ভাঙা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।

একসময় মালদহ শহরে তৃণমূলের টাউন সভাপতি ছিলেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। কাউন্সিলরও ছিলেন। মালদহের ঝলঝলিয়া এলাকায় রেলের জায়গায় তৃণমূলের এই ওয়ার্ড অফিস মূলত তাঁর কার্যালয় ছিল। রেলের ওই জায়গায় আরও অনেকে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করছেন।

গত ২ জানুয়ারি খুন হন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার। ওই খুনে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। এখন জেলবন্দি নরেন্দ্রনাথের ওই কার্যালয় এদিন পুলিশের উপস্থিতিতেই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল রেল।

ওখানে রেলের জায়গায় আরও অনেকে বসবাস করছেন। এদিন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। নরেন্দ্রনাথের কার্যালয় ভাঙায় কোনও আপত্তি জানায়নি তারা। তবে বাড়িঘর ভাঙায় আপত্তি তোলে। তাদের বক্তব্য, “রেলের উচিত এদের থাকার বিকল্প ব্যবস্থা করে দিক। তারপর রেল এখানে উন্নয়ন করুক। আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু, গরিব মানুষের বাসস্থান ভাঙতে দেব না।”

স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলেন, “রেলের জায়গা হলেও স্থানীয় অনেকেই এখানে বাস করেন। এখন তাঁদের বাড়িঘর ভাঙা হলে কোথায় যাবেন? তাই হঠাৎ করে ওই বাড়িঘরগুলি ভাঙা ঠিক নয়।” রেলের বক্তব্য, জায়গা ছাড়ার জন্য বারবার বলা হয়েছে। তারপরও কেউ উঠে যাননি। তাই, এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।