Physical Assault of Minor Girl: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী, একযোগে নিশানা বাম-বিজেপির
Maldah: বিজেপি, সিপিএমের তোপ, রাজ্যে এখন নৈরাজ্য চলছে। শাসকদলের ছত্রছায়ায় অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
মালদহ: মালদহের (Maldah) ইংরেজবাজারে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর (Trinamool Congress)। অভিযোগ, ওই যুবক কিশোরীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করেন। এই যুবকের রাজনৈতিক পরিচয় ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি, সিপিএমের তোপ, রাজ্যে এখন নৈরাজ্য চলছে। শাসকদলের ছত্রছায়ায় অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, তারা কোনওভাবেই অপরাধীকে আশ্রয় দেয় না। দল, রং নির্বিশেষে অপরাধী শাস্তি পাবেই। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরী সোমবার বাড়িতে একাই ছিল। সেই সুযোগকেই ওই যুবক কাজে লাগায়। ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘরে ঢুকেই ওই কিশোরীর কপালে পিস্তল ধরে। তাতেই ভয় পেয়ে যায় সে। এরপরই হাত, পা বেঁধে ফেলে। তারপরই চলে অকথ্য নির্যাতন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সে। শরীরে ক্ষত গুরুতর।
সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “এই আলোচনা করতে আর ভাল লাগে না। একটার পর একটা। বসিরহাটের মাটিয়ায় মেয়েটাকে ছিঁড়ে খেল। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে কঠিন লড়াই লড়ছে। তারপরই দেগঙ্গা। এখন শুনছি মালদহ। এতো ধর্ষণের নেশা চেপে বসছে! একজন তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ উঠছে? কোথায় যাচ্ছে বাংলা, কোথায় নিয়ে যাবে কে জানে। জঙ্গলের শাসনও বাংলায় নেই। জঙ্গলেও একটা ন্যূনতম আইন থাকে। তাও নেই এখানে। সমাজবিরোধী, গুন্ডা, ধর্ষকরা ধরে নিচ্ছে এ সরকার তাদের। বহাল তবিয়তে আছে তারা।”
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “এই ধরনের অপরাধমনস্ক মানুষরা ভয়মুক্ত হয়ে গিয়েছে। তারা বুঝে গিয়েছে, এই দলের সঙ্গে থাকলে প্রশাসন যখন আছে, সেখানে কোনও অন্যায়ের বিচার হবে না। নির্ভয় হয়ে পড়েছে। নৈরাজ্য চলছে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।” যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “কে তৃণমূল করছে বা করছে না সেটা বড় কথা না। একজন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ যখন আছে তা প্রমাণ হলে পুলিশ যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে। এখানে দলের কোনও ভূমিকা নেই। অপরাধীকে কখনওই তৃণমূল আশ্রয় দেবে না।”