AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: ‘টাকা না দিলে চুরি করে খায়’, রাগে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানেই ভাঙচুর মহিলাদের!

Liquor Shop: গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, গ্রামের পুরুষরা যা উপার্জন করেন তার অর্ধেকের বেশি টাকা নষ্ট করেন মদের দোকানে মদ খেয়ে। ফলে, প্রায়ই আর্থিক টানাটানির সম্মুখীন হতে হয়

Malda: 'টাকা না দিলে চুরি করে খায়', রাগে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানেই ভাঙচুর মহিলাদের!
বিক্ষোভরত মহিলারা, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2021 | 8:01 PM
Share

মালদা: আয় নিমিত্তমাত্র। সেই দিনমজুরির আয়ে একবেলা ভাত জোটে না। কিন্তু, দিনশেষে মদের দোকানে (Liquor Shop) লম্বা লাইন। দিনের পর দিন এভাবে কষ্টার্জিত অর্থ শুধুমাত্র নেশায় অতিব্যয়িত হয় দেখে এ বার হাতে লাঠি তুলে নিলেন মহিলারাই। সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানে (Liquor Shop) নিজেরাই লাঠি চালিয়ে ভাঙতে শুরু করলেন গ্রামের মহিলারাই। রবিবার, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভূতনির গোবর্ধনতলা।

গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, গ্রামের পুরুষরা যা উপার্জন করেন তার অর্ধেকের বেশি টাকা নষ্ট করেন মদের দোকানে মদ খেয়ে। ফলে, প্রায়ই আর্থিক টানাটানির সম্মুখীন হতে হয়। অভিযোগ, টাকা না দিলে বাড়িতে জোটে অত্যাচার। অন্যদিকে, যুব সমাজও ওই মদের নেশায় আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, মদের দোকানের (Liquor Shop) জেরেই এলাকার বাইরের নানা দুষ্কৃতীর আগমন ঘটে। অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তারা নানা অভব্য আচরণ করে। ফলে, ভয়ে সন্ধের পর বাড়ির বাইরে বেরনো কঠিন হয়ে পড়ে মেয়েদের। এই পরিস্থিতিতে, গৃহে ও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে মঙ্গলবার গ্রামের মহিলারা মিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে মদের দোকান ভাঙতে উঠে পড়ে লাগেন।

বিক্ষোভকারী এক মহিলার কথায়, “আমার স্বামী ২০০ টাকা রোজগার করে। তারমধ্যে ১০০ টাকা মাল খেয়ে উড়িয়ে দেয়। তা হলে সংসার চলবে কী করে? আমার রোজগারে ভাগ বসায়। টাকা না দিলে মারধর করে। আমাদের সকলের কম বেশি একই অবস্থা। সকলের ভাল ভেবেই আমরা নিজেরা আজ হাতে লাঠি তুলে নিয়েছি।”  অন্য আরেক বিক্ষোভকারীর কথায়, “টাকা না দিলে চুরি করে টাকা দিয়ে মদ খায়। কষ্ট করে টাকা কামাই। সব উড়িয়ে দেয় মদে। তারমধ্যে ভাঙা কাচের বোতল সবদিকে ছড়িয়ে থাকে। পায়ে কখনও কাচ ফোটে, কখনও অন্য কোনও বিপত্তি। আমরা বাধ্য হয়েই তাই পথে নেমেছি। পুলিশকে বলেও কোনও লাভ হয়নি।”

রবিবার দেখা যায়, দলে দলে গ্রামের মহিলারা মদের দোকানের সামনে ভিড় করে  টায়ার জ্বালিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে রীতিমতো হামলা চালান মদের দোকানে। ভেঙে দেওয়া হয়  দোকানের চাল। ভাঙচুর চালানো হয় দোকানের ভেতরেও। ঘটনায় মদের দোকানের মালিকের যদিও অভিযোগ, গ্রামের মধ্যে তিনি তৃণমূল সমর্থক। এলাকাতেও তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তাঁর ১৩ বছরের দোকানও সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত। যেসকল গ্রামের লোক ও মহিলারা একজোট হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন তাঁরা সকলেই বিজেপি সমর্থক। তাই রাজনৈতিক আক্রোশেই এই ভাঙচুর বলে অভিযোগ ওই দোকানির। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘মা সব কথা শোনে’, ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার সোনার গয়নায় কালীকে সাজিয়ে কী চাইলেন অনুব্রত?

লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালালো মহিলারা। ভাঙচুর একসাথে দোকান।মারধর করা হয় চার মদ বিক্রেতাকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ। তীব্র উত্তেজনা মালদার ভুতনিতে।উত্তপ্ত ভূতনির গবর্ধনটোলা।মহিলারা মদের দোকানের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে।এরপরেই উত্তেজিত মহিলারা মদের দোকানে লাঠিসোটা নিয়ে ভাঙচুর চালায়।অভিযোগ মদের দোকান গ্রামের মধ্যে থাকায় সন্ধ্যার পর বেরোনো যায়না,এমনকি দুষ্কৃতীদের তান্ডবও বেড়েছে,এব্যাপারে পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। দাবী এলাকাবাসীদের।অন্যদিকে গ্রামবাসীদের দাবিকে অস্বীকার করেছেন মদের দোকান মালিক জদুনন্দন মন্ডল,তারদাবী তিনি বিগত 13 বছর ধরে এই এলাকায় সরকার স্বীকৃত মদের দোকান চালাচ্ছেন সেই সময় এই এলাকার সেইরকম জনবসতির ছিল না। তাঁর আরও দাবি যাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ভাঙচুর করেছেন তারা বিজেপির সমর্থক। তিনি এমনটাও দাবি করেছেন তিনি তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় তার ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।