Tmc Clash: মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ, থানায় অভিযোগ জানালেই মিলছে হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতার ছেলে
malda: থে ঘাটে দেখলে অশালীন আচরণ করছেন। কটূক্তি করছেন।
মালদা: দুই প্রতিবেশীর বিবাদ। তাকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগ দায়ের। এরপর সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য পেশায় টোটো চালক এক প্রতিবেশীকে প্রাণনাশের হুমকি। পাশাপাশি এলাকা ছাড়াও করে দেওয়ার অভিযোগ।পুরাতন মালদা পৌরসভার পৌর প্রশাসক তথা তূণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
রাজেশ দাস (Rajesh Das) নামে ওই টোটো চালক আতঙ্কে এখন জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনাস্থান পুরাতন মালদা (Old malda) এলাকার ঘটনা। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের (Tmc)। গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিজেপি (BJP)। চরম অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আইন-আইনের পথে চলবে পরিষ্কার জানিয়ে দিলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঠীক কী ঘটেছিল?
পুরাতন মালদা (Old Malda) এলাকার বাসিন্দা রাজেশ দাস। পেশায় টোটো চালক। তাঁর অভিযোগ, এলাকারই এক তৃণমূল নেতা তাঁর স্ত্রীকে বেশ কিছুদিন ধরে থেকে কটুক্তি করছে। পথে ঘাটে দেখলে অশালীন আচরণ করছেন। কটূক্তি করছেন।
রাজেশ দাস বলেন, “সম্প্রতি আমি কাজের জন্য বাইরে ছিলাম। সেই সময় ওই যুবক বাড়িতে ঢুকে অশালীন স্ত্রীকে ধর্ষণেরর চেষ্টা করে। যদিও প্রতিবেশীদের তৎপরতায় রক্ষা পায় স্ত্রী। এরপর আমার স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ওই প্রতিবেশী যুবক। এই সমস্ত ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি আমি। এরপর থেকেই অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য তাকে চাপ দিচ্ছে পুরাতন মালদা পৌরসভার পৌর প্রশাসক বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদীর ছেলে তথা তৃণমূল নেতা অমিত ত্রিবেদী ও তার দলবল। আমায় এলাকা থেকে উৎখাত করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।” একই অভিযোগ করেন ওই টোটো চালকের স্ত্রী।
থানা কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আতঙ্কে তারা জেলার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনায় সরব হয়েছে জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরাতন মালদা পৌরসভার পৌর প্রশাসক বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদী। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন আইন আইনের পথে চলবে এক্ষেত্রে দল কোন ভাবে তার পাশে থাকবে না।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একশ দিনের কাজের প্রকল্পের প্রায় ৩ লাখ টাকা উধাওয়ের খবর এসেছে জেলা থেকে। মালদার কুশিধা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম পাড়া এলাকায় সেই জলা জমি জুড়েই বিক্ষোভে কৃষকরা। এই এলাকার সব পরিবারই প্রায় কৃষক পরিবার। প্রত্যেকেই জমির ফসলের ওপর নির্ভরশীল। তিন ফসলা,দুই ফসলা জমি। পশ্চিম পাড়া এলাকা দিয়ে বিস্তীর্ণ চাষের জমির পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে সরু খাল। এলাকার জল নিকাশের কাজে লাগে এই খাল। জলের সঙ্গে নোংরা আবর্জনাও যায়। সেই খাল সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন অংশে বুঁজে গিয়েছে।
অথচ অন্যদিকে কুশিধা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ওই খাল সংস্কারের জন্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। সংস্কারের কোনও কাজ না করেই সেই টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। কাজ না করলেও পঞ্চায়েতের তরফে সেই জলা জমিতেই ফলক তৈরি করে সেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে।