AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্যসাথী থেকে ‘বঞ্চিত’

গ্রামের একাংশের অভিযোগ, আবাস যোজনার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ফেলে আত্মসাৎ করেছেন প্রধান।

গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্যসাথী থেকে 'বঞ্চিত'
এই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ।
| Updated on: Dec 12, 2020 | 1:46 PM
Share

মালদহ: এলাকার গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন গ্রামের একাংশ। তাই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাচ্ছেন না তাঁরা। এমন অভিযোগ ঘিরে সরগরম মালদহের ইংলিশবাজারের কাজিগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা। বিচার চেয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হল গ্রামবাসী। অন্যদিকে দলীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: ‘সঙ্কটমুক্ত’ বুদ্ধবাবু, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন দু’ তিনদিনের মধ্যে

ইংরেজবাজারের কাজিগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েত। এখানকার প্রধান সত্যজিৎ চৌধুরী। গ্রামের একাংশের অভিযোগ, আবাস যোজনার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ফেলে আত্মসাৎ করেছেন প্রধান। লিখিতভাবে গ্রামের লোকজন সে অভিযোগ জানান। এরপরই নাকি সত্য়জিৎ ওই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ, গ্রামবাসীরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাবে না বলেও হুমকি দিয়েছেন প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা।

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সত্যজিৎ চৌধুরী। তাঁর দাবি, “এসব অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। গ্রামে শিবির করে গত ৮ ডিসেম্বর প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন: টিকা পেতে হলে নাম থাকতে হবে ভোটার তালিকায়, উল্লেখ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইনে

এদিকে জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের অভিযোগ, “সাধারণ মানুষ যখনই প্রধানের কাছে যাচ্ছেন তিনি বেছে বেছে কয়েকজনকে সরকারি সুবিধা দিচ্ছেন। সকলে পাচ্ছেন না। দলবাজি করার একটা সীমা থাকে। এই গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সেসব পার করে গিয়েছেন। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিৎ।”

স্থানীয় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা দুয়ারে দুয়ারে গিয়েছি। কাজীগ্রামেও যাব। সব দলের সকল মানুষ এই স্বাস্থ্য়সাথীর সুবিধা পাবেন। এখানে প্রধানের ভাগাভাগি করার কোনও এক্তিয়ারই নেই। প্রধানের বিরুদ্ধে হুমকি বা দুর্নীতির যদি কোনও অভিযোগ পাই আমরা দলগতভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। জেলাশাসক, পঞ্চায়েত এবং পুলিস প্রশাসনও এরকম অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। সে যে দলেরই গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান হোন না কেন।