‘জেএমবি, জামাত জঙ্গিদের সামনে রেখে ভোটে জেতার চেষ্টা তৃণমূলের’, বিস্ফোরক দিলীপ

Dec 15, 2020 | 12:29 PM

সম্প্রতি বীরভূম থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে নাজিবুল্লা নামে একজনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিসের এসটিএফ। তদন্তে উঠে আসে, খাগড়াগড়কাণ্ডের পর এই নাজিবুল্লা সন্দেহের তালিকায় ছিল।

জেএমবি, জামাত জঙ্গিদের সামনে রেখে ভোটে জেতার চেষ্টা তৃণমূলের, বিস্ফোরক দিলীপ
ফাইল ছবি।

Follow Us

মালদহ: জেএমবি, জামাত জঙ্গিদের সামনে রেখে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। মঙ্গলবার মালদহের এক চা-চক্রে যোগ দিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি (BJP) সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীদের বাংলায় আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভোটের কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সবটা করছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও এসব অভিযোগের বাস্তব ভিত্তি নেই বলেই সরব হয়েছে তৃণমূল। তারা বলছে, নিজেদের অক্ষমতা ঢাকতে দিলীপ ঘোষরা তৃণমূলকে বিঁধছে।

আরও পড়ুন: এবার মদন মিত্রের নামে পোস্টার পড়ল শহরজুড়ে

মঙ্গলবার মানিকচকের মথুরাপুরে জনসভা দিলীপ ঘোষের। তার আগে সকালে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে এলাকায় চা-চক্রে যোগ দেন তিনি। সেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে দিলীপবাবু বলেন, মালদহকে করিডর হিসাবে ব্যবহার করে জঙ্গিদের কার্যকলাপ চলছে। দেদার গরু পাচার, অস্ত্র পাচার হচ্ছে। একইসঙ্গে বিজেপি সাংসদ হুঁশিয়ারি দেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। পুলিস, বিএসএফ কিংবা যারাই এর সঙ্গে জড়িত সকলকেই ধরা হবে।

দিলীপ ঘোষের গুরুতর এই অভিযোগকে খণ্ডন করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, “এসব কথার কোনও ভিত্তিই নেই। জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। একইভাবে রোহিঙ্গাদেরও আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল কোনও মদত দেয় না। আমাদের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব বিএসএফ-এর। কাঁটাতার বেড়া দেওয়াও কেন্দ্রীয় সংস্থার কাজ। তারা সেটা করছে না। আর দিলীপ ঘোষ সেই দায় আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। এসব করে উনি বাংলায় সাম্প্রদায়িক বিভাজন আনার চেষ্টা করছেন। যার আমরা তীব্র নিন্দা করি।”

আরও পড়ুন: আপডেট: বাড়ি ফিরলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

সম্প্রতি বীরভূম থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে নাজিবুল্লা নামে একজনকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিসের এসটিএফ। তদন্তে উঠে আসে, খাগড়াগড়কাণ্ডের পর এই নাজিবুল্লা সন্দেহের তালিকায় ছিল। সেইসময় এনআইএ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তার উপর নজর রাখা হয়েছিল। এক মাস ধরে মোবাইল ও তার সব কাজেই নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা। এরপর জেলার কাশিমবাজারের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। এই ঘটনাকে সামনে রেখে ফের রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। এদিন দিলীপ ঘোষের গলায় আবারও শোনা গেল সেই সুর।

Next Article