মালদা: প্রজাতন্ত্র দিবসে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা। মালদা রেল ডিভিশনকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ২৬ জানুয়ারিকে সামনে রেখে জেএমবি-র ৬-৭ সদস্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার ছক কষছে তারা। মূলত মালদা ডিভিশনের বিস্তীর্ণ এলাকায় তারা রেইকি করেছে বলেও তদন্তে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
তদন্তকারীদের মতে, মালদা ডিভিশনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকেই মূলত টার্গেট করেছে জঙ্গিরা। মালদা টাউন ষ্টেশন ছাড়াও নিউ ফরাক্কা, সাহেবগঞ্জ এবং ভাগলপুর স্টেশন জঙ্গিদের নজরে রয়েছে বলে খবর। আরপিএফের নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিও চূড়ান্ত সতর্কতার কথা জানিয়েছে। নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছে মালদা ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশন।
কেন মালদাকেই বেছে নিল জঙ্গিরা?
এক্ষেত্রে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মালদার বিরাট এলাকা জুড়েই সীমান্তবর্তী অঞ্চল। অনেক জায়গায় ফেন্সিং নেই। সীমান্তে নদীও রয়েছে। জলপথে অনুপ্রবেশ আরও সহজ। এছাড়া ঝাড়খণ্ড, বিহার তথা সাহেবগঞ্জ, ভাগলপুর হয়ে সরাসরি নেপাল যাওয়ার বিস্তর সুবিধা। আর ঠিক এই কারণেই এই পথকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। নিউ ফরাক্কা স্টেশন বা মালদা স্টেশনে তাঁদের যাতায়াতের সম্ভাবনা। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে প্রতিবছরই কড়া নজরদারি থাকে গোয়েন্দাদের। তবে এবার তা আরও চূড়ান্ত পর্যায়ে।
নিরাপত্তা বলয়
কড়া নজরদারি রাখছে আরপিএফের মালদা ডিভিশনের সিকিউরিটি দফতরও। সংশ্লিষ্ট চারটি স্টেশন ছাড়াও মালদা ডিভিশনের প্রত্যেক স্টেশনেই চলছে নাকা চেকিং। ট্রেন দাঁড় করিয়ে স্নিফার ডগ নিয়ে চলছে তল্লাশি। মহিলাদের চেকিংয়ের জন্য বিশেষ সেল। স্টেশন চত্বরে ঢোকা বা বেরোনোয় রাখা হচ্ছে কড়া নজরদারি। স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খোলা হয়েছে উন্নতমানের কন্ট্রোল রুম। নিউ ফরাক্কা, মালদহ, সাহেবগঞ্জ এবং ভাগলপুর এই চার স্টেশনে সিসিটিভির মাধ্যমেও নজরদারি চলছে।