AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুব্রত, কেষ্টকেও ফোন করল বিজেপি! তাঁদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানালেন মমতাই

সভায় বক্তব্যের মাঝপথে রীতিমতো বোমা ফাটান মমতা। বলেন, ‘আপানাদের বলি, শুনলে লজ্জা পাবেন। প্রেসের অনেকে জানেনও না। সুব্রত বক্সী (Subrata Bakshi) আমার রাজ্যের সভাপতি, এবং একজন রাজ্যসভার সাংসদ। কোথায় গেছে বুঝুন বিজেপি।

সুব্রত, কেষ্টকেও ফোন করল বিজেপি! তাঁদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানালেন মমতাই
অলঙ্করণ- অভীক দেবনাথ
| Updated on: Dec 16, 2020 | 3:37 PM
Share

কোচবিহার: কোচবিহারে তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে ফের একবার বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ভাগাভাগির অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূলের (TMC) প্রথম সারির নেতাদের বিজেপির পক্ষ থেকে ফোন করা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেন মমতা। একই সঙ্গে নাম না করে দলত্যাগী নেতাদেরও বার্তা দেন। বিজেপিকে নিশানায় নিয়ে বুধবারের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘ওরা একটা নির্বাচনে পগাড়পার হয়েছে। তবে মনে রাখবেন তৃণমূল কিন্তু বারো মাসে তেরো পার্বণ করে।‘

সভায় বক্তব্যের মাঝপথে রীতিমতো বোমা ফাটান মমতা। বলেন, ‘আপানাদের বলি, শুনলে লজ্জা পাবেন। প্রেসের অনেকে জানেনও না। সুব্রত বক্সী (Subrata Bakshi) আমার রাজ্যের সভাপতি, এবং একজন রাজ্যসভার সাংসদ। কোথায় গেছে বুঝুন বিজেপি। সামান্য লজ্জাটুকু নেই। (বিজেপি) সুব্রত বক্সীকে ফোন করেছিল। ফোন করে বলছে দাদা একটু কথা আছে, আপনার সঙ্গে বসব। কত বড় সাহস!’

মমতা বলে চলেন, ‘কালকে আমায় কেষ্ট (Anubrata Mondal) ফোন করল বীরভূম থেকে। বলল, দিদি জানেন আমাকে একটা দিল্লির নেতা ফোন করছে। ফোন করে বলছে তোমার সঙ্গে একটু বসব। আমি বলেছি তোমার সঙ্গে কেন আমি বসব। আমি তো মমতা ব্যানার্জির দল করি। আমার রাজ্যের সভাপতিকে ফোন মেরে দিচ্ছে। হাউ ডেনঞ্জারাস দে আর।‘

এদিন কোচবিহারের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো প্রথমেই জেলায় সরকার কী কী কাজ করেছে তার খতিয়ান তুলে ধরেন। এরপর সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে নিশানায় নেন। মমতার কথায়, ‘সিপিএম সারাক্ষণ কুটুস কুটুস করছে।‘ আর বিজেপি মিথ্যের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছে। তবে ‘মা মাটি মানুষের সরকার কখনও বিশ্বাসঘাতক হতে পারে না। প্রতারণা করতে পারে না’, বলেন মমতা।

আরও পড়ুন: মুসলিমরা মমতার সম্পত্তি নয়, আসাউদ্দিন ওয়েইসিকে কেনা যায় না! বোমা ফাটালেন মিম প্রধান

বিজেপিকে না রুখতে পারলে কী হবে সেই ‘পরিণতির’ কথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দেন মমতা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যদি ওদের না রুখতে পারেন কী হবে জানেন, বলছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জনগণমন তুলে দাও। যেন একেবারে হাতের মোয়া। চাইল আর দিয়ে দিলাম। ক্ষমতা থাকলে হাত দিয়ে দেখ! বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, এমন এমন সব নেতা, নাম বলতেও লজ্জা হয়। ৬ বছর ক্ষমতায় থেকে রাঘববোয়াল হয়ে গেছে।‘

বেসুরো নেতাদের উদ্দেশে পরোক্ষ বার্তা দেওয়ার সুরে নেত্রী এদিন বলেন, ‘যারা যারা জানে টিকিট পাবে না তারাই এরকম করছে। বিজেপি তো বলেই দিচ্ছে। হয় এদিকে, নয় জেলে। কেউ কেউ ভয় পায়, আমায় যদি জেলে নিয়ে যায়। তার চেয়ে ভাল ঘরেই থাকি।‘ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ মুখ ফিরিয়ে নিলেও বিধানসভায় সেখানকার জনগণের সর্মথন চেয়ে তিনি বলেন, ‘লোকসভায় আপনারা অন্য পার্টিকে ভোট দিলেও তাতে আমার অভিমান নেই। বিধানসভায় ভোটটা আমাদের দেবেন।‘

আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছেড়ে দেব, আমার মা উপপ্রধান, পুলিসও কিচ্ছু করবে না’