‘উন্নয়নে অনেক কিছু করেছি, আমি কথা দিয়ে কথা রাখি’, মতুয়াদের মাঝে মমতা

ইতিমধ্যেই বিজেপি জানিয়েছে আগামী জানুয়ারি থেকেই রাজ্যে লাগু হবে সংশোধিত নাগরিক আইন। যা নিয়ে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দলের খানিক মন কষাকষিও চলছে।

'উন্নয়নে অনেক কিছু করেছি, আমি কথা দিয়ে কথা রাখি', মতুয়াদের মাঝে মমতা
বনগাঁর সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Updated on: Dec 09, 2020 | 2:10 PM

বনগাঁ: ক্যা ক্যা করে বিজেপি আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। বুধবার সিএএ ইস্যুতে এভাবেই গোপালনগরের মঞ্চ থেকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আপনারা এ দেশের নাগরিক। নিজের বাড়িতে থাকতে পরিচয়পত্র কেন লাগবে? ক্যা ক্যা বলে আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে। আপনাদের কেউ তাড়াতে পারবে না। বিজেপি চাইছে বাংলা থেকে বাংলার মানুষকে তাড়িয়ে গুজরাট করতে। তা করতে দেব না।” এদিন সভায় প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা। বলেন, “বাইরে থেকে গুন্ডা এনে, আরএসএস-এর লোক এনে ওরা ধর্ম শেখাচ্ছে। মতুয়াকে ধর্ম শেখাবে আরএসএস? আপনারা কান ধরে ওদের ধর্ম শেখান। এটা বিবেকানন্দর বাংলা।”

এদিন মমতা একযোগে তোপ দাগেন বিজেপি, সিপিএমকে। বলেন, সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপিকে সমর্থন দিচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে, গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করার সাহস ওদের নেই। ওরা ঘর ভাঙছে। মতুয়া মতুয়ায় লড়াই লাগাচ্ছে। রামের সঙ্গে রহিমের লড়াই লাগাচ্ছে। এভাবে ক্ষমতা দখল করা যায় না।

মমতার দাবি, “৩০ বছর ধরে বড়মার চিকিৎসা করিয়েছি। বড়মা যতবার অসুস্থ হয়েছেন আমি জ্যোতিপ্রিয়কে বলেছি নিয়ে এসো চিকিৎসা করাতে। এখানে আমরা কলেজ চালু করে দিয়েছি। হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবসে সরকারি ছুটি দেওয়ার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। আমি বিজেপি নই যে পালিয়ে যাব। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের বাণী আমরা পাঠ্যবইতে অন্তর্ভুক্ত করেছি।”

বনগাঁর জনসভা থেকেও ফের কৃষি আইন নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, কেন্দ্রকে এই আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। ওরা চাইছে কৃষকদের জিনিসকে কর্পোরেট হাউস কিনবে। কালোবাজারির চাঁইরা তা কিনে মজুত করবে। বাজার থেকে সব তুলে নিয়ে যাবে। কৃষকদের কোনও নিরাপত্তা থাকবে না। মমতার তোপ, “কৃষকদের সব ফসল আড়তদার, জোতদার, মুনাফাখোর, চোরা কারবারিরা নিয়ে চলে যাবে। আমাদের হাতে যখন ছিল আমরা আলুর দামে ভর্তুকি দিতাম। আমরা আলু কিনে হিমঘরে রেখে দিতাম। বাজার যখন ঊর্ধ্বমুখী হতো আমরা সেই আলু হিমঘর থেকে বের করে জনগণকে দিতাম। আলু, ডাল, পেঁয়াজ এসেনশিয়াল অ্যাক্টের আওতায় ছিল। সব তুলে দিয়েছে। এটাই বিজেপি সরকার।”