‘ভাত খাই না ২০ বছর, কিন্তু খেতে তো পাই।,’ নেতাদের নির্লোভ হওয়ার পাঠ মমতার

সৈকত দাস |

Feb 10, 2021 | 4:13 PM

‘লোভী, ভোগী ও ত্যাগী’দের পার্থক্য বোঝালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘ভাত খাই না ২০ বছর, কিন্তু খেতে তো পাই।,’ নেতাদের নির্লোভ হওয়ার পাঠ মমতার
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

রায়গঞ্জ: ‘কই আমার মনে হয় না গয়নাগাটি পরে ঘুরে বেড়াই। একটা বড় বাড়ি করে থাকি। ভাত খাই না ২০ বছর। কিন্তু খেতে তো পাই।’ বুধবার রায়গঞ্জের সভা থেকে এভাবেই নেতাদের ‘লোভী, ভোগী ও ত্যাগী’দের পার্থক্য বোঝালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

মমতার কথায়, আমি নেতা নই, নিজেকে দলের কর্মী ভাবি। আমি যখন সরকার চালাই তখন নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী নয়, মানুষের প্রতিনিধি ভাবি। দলের নেতাদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, মানুষের জন্য কাজ করুন, মাথা উঁচু করে চলুন। তিনি আরও বলেন, একটা রাজনৈতিক দল হয় অনেককে নিয়ে। আমি যদি মনে করি একা বড় লিডার, অন্যদের কাউকে মানব না, সেটা ভুল।

আরও পড়ুন: ‘সিপিএম-কংগ্রেস অনেক খেয়েছে’, এবার মমতাও খাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন মালদহে

এরপরেই দলত্যাগীদের নিশানা করে মমতার কটাক্ষ, কিছু ভুঁইফোড়কে কাজ করতে পাঠিয়েছিলাম, আখের গুছিয়ে পালিয়েছে। তৃণমূল টিকিট (ভোটে) দেয় কাজ দেখে। কারও কাছে মাথানত করে টিকিট দিই না। দলত্যাগীদের বিঁধে গল্পের উদাহরণ দিয়ে মমতার কটাক্ষ, এরা ছিল ইঁদুর, ঋষি মশাইকে বলল বেড়াল বানিয়ে দিতে, তারপর বলল বাঘ বানাতে। কিন্তু বাঘ হয়ে সে ঋষি মশাইকেই খেতে এল প্রথম। তারপর ঋষিমশাই আবার তাকে ইঁদুর বানাল। নেতাদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, সোনার চেয়ে দামি মানুষের ভালোবাসা।

আরও পড়ুন: ‘রথবাবুরা কৃষ্ণ নাকি জগন্নাথ দেব? ওটা তো ফাইভস্টার হোটেল’, তীব্র কটাক্ষ মমতার

তিনি বলেন, ‘ছোট থেকে আমিও তো অনেক মানুষের কাজ করি। কই আমার তো মনে হয় না, একটু ভাল ভাল গয়নাগাটি পরে ঘুরে বেড়াই। একটা বড় বাড়ি করে থাকি। আমার মনে হয় না।’ মমতা যোগ করেন, ঘুমোনোর সময় মনে হয় আমার তো একটা বিছানা আছে, ভালো একটা চাদর পাতা আছে। ভাত খাই না ২০ বছর। কিন্তু মুড়ি হলেও খেতে তো পাই!’ এভাবেই দলীয় নেতাদের নির্লোভ হওয়ার বীজমন্ত্র দিলেন নেত্রী।তিনি আরও বলেন, ‘টাকা মাটি, মাটি টাকা। টাকা দিয়ে চরিত্র গঠন হয় না। যতটুকু দরকার ততটাই রোজগার করুন।’

Next Article