কেতুগ্রাম ও কৃষ্ণনগর: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে বাংলা (West Bengal)। কিন্তু কালবৈশাখীর দাপটে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে একাধিক এলাকায়। কাটোয়ার কেতুগ্রাম প্রবল ঝড়ে প্রাণ গেল মৌসুমী খাতুন (১২) নামে এক কিশোরীর। গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনার জেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কেতুগ্রামের চরখি গ্রামে বাড়ি ওই কিশোরীর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকালে বাড়ির সামনে খেলছিল মৌসুমী সহ কয়েকজন পাড়ার শিশু। ঝড় উঠেছে দেখে মৌসুমী যখন একা বাড়ি ফিরছিল, তখন শিমুল গাছে ডাল ভেঙে মৌসুমীর ঘাড়ের উপরে পড়ে। গুরুতর জখম মৌসুমীকে তার পরিবারের সদস্যরা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা।
অন্যদিকে ঝড়ের দাপটে আরও এক মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে কৃষ্ণনগরে। কৃষ্ণনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রেল ব্রিজের কাছে গাছের ডাল ভেঙে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ প্রামানিক (৫৬)। তাঁর বাড়ি কোতোআলি থানার অন্তর্গত রোড স্টেশন এলাকায়। এদিন সন্ধ্যেবেলা স্কুটি নিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎই গাছের ডাল ভেঙে তাঁর মাথায় পড়ে। তখনই স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে কালবৈশাখীর দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বীরভূমে।
কোথাও কোথাও বাড়ির ছাদে বা রাস্তার উপর ভেঙে পড়েছে গাছ। সিউড়িতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে প্রবল ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে কাটোয়ায়। একাধিক স্টেশনে আটকে পড়ে লোকাল ট্রেন। ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে আরও একাধিক জেলা থেকে। এদিকে আগামী কয়েকদিন বিকেলের দিকে ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়।
আরও পড়ুন- জেলায়-জেলায় কালবৈশাখীর দাপট, স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা