মালদহ : মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই কার্যত অমান্য করলেন তৃণমূলের বিধায়ক। এই করোনা আবহে যেখানে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকেরা, তারই মধ্যে দলবল নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে পড়লেন মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার।
বুধবার প্রায় ৫০ জনেরও বেশি অনুগামী নিয়ে তিনি ঢুকে পড়লেন সরকারি হাসপাতালে। স্বাস্থ্য বিধির পরোয়া না করে চিকিৎসাধীন রোগীদের একেবারে কাছে চলে যান বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীরা। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও বিব্রত এবং ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য কর্তারা। এ দিন বৈষ্ণবনগরে বেদরাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করতে দেখা গিয়েছে চন্দনা সরকারকে। রোগীদের ফলমূল বিতরণ করেন তিনি। কথাও বলেন রোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে।
বিধায়ক কেন এভাবে এলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও অস্বস্তি বোধ করেননি, উল্টে জানান, আরও একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তিনি সাফ জানান, ৫ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সেই উপলক্ষেই তিনি একাধিক জায়গায় গিয়ে ফল বিতরণ করবেন। পাশাপাশি পরবর্তীতে দলীয় কর্মসূচি মেনে তাঁরা মাদ্রাসায় গিয়ে দুঃস্থদের সাহায্য করবেন বলেই জানিয়েছেন। করোনা বিধি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে চন্দনা সরকার জানিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মাস্ক পরেছিলেন, তাই কোনও বিধি ভঙ্গ হয়নি।
উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় রাজ্যে নতুন করে করোনা বিধি জারি করেছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি বিচার করে সোমবার থেকে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সর্বত্র এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে শিক্ষক কিংবা শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে যেতে পারবে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে। নির্দেশিকা অনুসারে পার্ক, সেলুন, স্পা এবং জিম সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ পর্যটনকেন্দ্র, চিড়িয়াখানা সহ সমস্ত রকমের বিনোদন পার্ক। মাস্ক ও দূরত্ব বিধি কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। হাসপাতালগুলিতে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারপরও কী ভাবে বিধায়ক এমন লোকজন নিয়ে প্রবেশ করলেন হাসপাতালে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন : Malda: হাসপাতালের সামনে সদ্যোজাতের দেহ খুবলে খেল কুকুরের দল, অর্ধেক অংশ পড়ে রাস্তায়!