Malda: হাসপাতালের সামনে সদ্যোজাতের দেহ খুবলে খেল কুকুরের দল, অর্ধেক অংশ পড়ে রাস্তায়!
Malda Medical College: কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা! মালদহ মেডিকেল কলেজের সামনে সদ্যোজাতের দেহ খুবলে খেল কুকুরের দল। শরীরের অর্ধেক অংশ খেয়ে বাকি অংশ রাস্তায় ফেলে চলে গেল পথকুকুররা।
মালদহ: কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা! মালদহ মেডিকেল কলেজের সামনে সদ্যোজাতের দেহ খুবলে খেল কুকুরের দল। শরীরের অর্ধেক অংশ খেয়ে বাকি অংশ রাস্তায় ফেলে চলে গেল পথকুকুররা। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে সদ্যোজাতের দেহাংশ! বুধবার দুপুরে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রক্ত-মাংস পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জনান, কুকুর একটি সদ্যোজাতের নীচের অর্ধেক শরীর খুবলে খেয়ে ফেলে পালিয়েছে। ফলে ওই সদ্যোজাত ছেলে না মেয়ে তা জানা যায় নি। জানা যায়নি তার পিতৃ বা মাতৃপরিচয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
খুবলে খাওয়া মৃত সদ্যোজাতের দেহটি উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই সদ্যোজাতের দেহটি টানাটানি করছিল পথ কুকুরের দল। এর পরই কুকুরদের তাড়িয়ে ওই শিশুটি দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। খবর পাঠানো হয় পুলিশে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আশেপাশের এলাকায় বেশ কিছু নার্সিংহোম রয়েছে। কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে ওই সদ্যোজাতের দেহটি ফেলে পালিয়ে যায়। এই ধরনের ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হাসপাতালে কুকুর তাণ্ডবের ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। কোভিড পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালগুলির ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত সঙ্কট চরমে উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর জন্য রক্ত জোগাড় করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পরিজনদের। এই অবস্থায় হাড় হিম করা দৃশ্য নজরে এসেছিল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে রক্তের পাউচ মুখে নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছিল এক পথকুকুরকে।
অন্যদিকে পুজোর সময় পাভলভ মানসিক হাসপাতালে ঢুকে পড়েছিল একটি পাগলা কুকুর। তার পর সে একের পর এক মানসিক রোগিণীকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে সে। রোগীদের আর্ত চিৎকারে ওই ওয়ার্ডে ছুটে যান হাসপাতাল কর্মীরা। কিন্তু কুকুরটিকে তাড়ানো যায়নি। কুকুরটিকে তাড়াতে না পেরে তার হিংস্র আক্রমণ থেকে বাঁচতে ওয়ার্ডের মধ্যেই গেট আটকে সেটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন কয়েকজন। তবে এদিনের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন।