Canning Rail Strike: ‘সব তো যাবে সব পচে, প্রচুর টাকার ক্ষতি!’ বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতেই লাইনের ধারে বিকোচ্ছেন মাছও!
Canning Rail Strike: শিয়ালদা ক্যানিং দক্ষিণ শাখার তালদি স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে যখন বিপর্যস্ত পরিষেবা, তখন এক অন্য চিত্র দেখা গেল ক্যানিংয়ে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফার্স্ট ট্রেন বাতিল। তাই মাছ নিয়ে আসতে পারেননি শিয়ালদায়। প্রতিবাদে চলছে ট্রেন অবরোধ। লাইনে পাত তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যাত্রীরা। কিন্তু এ সবে কী আর পেট চলবে! যা মাছ নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছিলেন, তা যাবে পচে। বাধ্য হয়ে বিক্ষোভের পাশেই রেললাইনের ধারে বসে মাছ বিকোতে শুরু করলেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। শিয়ালদা ক্যানিং দক্ষিণ শাখার তালদি স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে যখন বিপর্যস্ত পরিষেবা, তখন এক অন্য চিত্র দেখা গেল ক্যানিংয়ে।
ক্যানিং থেকে শিয়ালদাগামী প্রথম আপ ট্রেন ৩:৫২ মিনিটে ছাড়ে। সেই ট্রেন না চলার কারণে বহু মানুষ নিজেদের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। এই কারণেই বুধবার সকাল থেকেই একেবারে রেললাইনের ওপর লোহার পাত তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নিত্যযাত্রীরা।
হাজার খানেক যাত্রী রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সম্পূর্ণ ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ক্যানিং লাইনের ট্রেন চলাচলl যেহেতু সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং, ফলে শিয়ালদা থেকে কোনও ট্রেন ক্যানিং কিংবা আপ ট্রেন আসতে পারছেনাl খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জিআরপি ও আরপিএফ বাহিনীl বিক্ষোভ ওঠে না।
যে সব মানুষ মাছ ব্যবসা করেন, ঝামেলায় পড়েন তাঁরাl কারণ যত সময় যাবে ততো পঁচে নষ্ট হবে মাছ! মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে তাঁদের। তাই বুদ্ধিকে কাছে লাগিয়ে রেল অবরোধ স্থলেই মাছ বিক্রি করতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। রেল লাইনের পাশেই মাছ নিয়ে বিক্রির জন্য বসে পড়েছে অনেকজন ব্যবসায়ী।
মাছ ব্যবসায়ী বলেন, “কোনওদিনই বসি না। আজই লাইনের ধারে বসে পড়লাম। মাছগুলো তো সব পচে যাবে নাহলে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। আমাদের পেট চলবে কীভাবে। ট্রেন চলছে না, কী করব।”
ক্যানিংয়ে ভোর চারটে থেকে ট্রেন বন্ধ। ফার্স্ট ট্রেনেই এই লাইনের বেশিরভাগ মাছ ব্যবসায়ী কলকাতায় আসেন। ফার্স্ট ট্রেন বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেই যাত্রীদেরই একাংশ। আর পেটের দায়ে সেখানে ব্যবসা শুরু করেছেন অপর অংশ।
এক বিক্ষোভকারীর কথায়, “আমরা গ্রামের মানুষ। রোজই শহরে যাই। শহরে যেতেই হয়। না হলে পেট চলবে কীভাবে। আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ট্রেন। এমনিতেই গত লকডাউনে প্রচুর খারাপ অবস্থা হয়েছে আমাদের। এখন আবার! ট্রেন পরিষেবা ঠিকঠাক থাকলে তো খেয়েপড়ে বাঁচতে পারি আমরা। নাহলে করোনা হওয়ার আগেই না খেয়ে মরে যাব।”
রেলের দাবি রাজ্যের নির্দেশিকা মেনে ভোর ৫ টা থেকে ট্রেন পরিষেবা শুরু করা হচ্ছে। যেহেতু ৫ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ চলছে। তবে এক্ষেত্রে সরকার কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।