মুর্শিদাবাদ: লোকসভা নির্বাচনে গড় রক্ষা হয়নি অধীর চৌধুরীর। তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের একমাত্র সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী। গণিখানের পরিবারের ছেলে ঈশা যে আগামিদিনে রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ হয়ে উঠতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও দেখছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু তাঁর ওপর ভরসা করতে পারছেন না তাঁর বাবা আবু হাসেম খান চৌধুরী! ঈশা খান সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন, তাতে তেমনটাই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি দিল্লিতে কংগ্রেসের বৈঠকে অধীর চৌধুরীকে প্রাক্তন ‘প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরপরই জল্পনা শুরু হয়, রাজ্যে এরপর কংগ্রেসের হাল ধরবেন কে? উঠে আসছে ঈশা খান চৌধুরীর নাম। এ বিষয়ে প্রাক্তন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি প্রথম পছন্দ হিসেবে অধীরের কথাই বলেন।
অধীরকেই চাইছেন আবু হাসেম খান চৌধুরী। তিনি স্পষ্ট বলেন, “প্রদেশ সভাপতি পদে অধীরকে রাখাই ভাল। ঈশাকে এখন না করাই ভাল। ও এখনও নতুন, অপরিণত। ঈশা এখন দেখুক, শিখুক।” তিনি মনে করেন, সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে, আর সেটা পারেন একমাত্র অধীর চৌধুরীই। ঈশার পক্ষে এখনই সেটা সম্ভব নয় বলে মনে করেন আবু হাসেম খান চৌধুরী। উল্লেখ্য, প্রায় ১৩ বছর ধরে রাজনীতি বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক ছিলেন তিনি। পরে সুজাপুরের বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলান।
শুধুমাত্র ঈশা খান চৌধুরীই ষুধু নয়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে আছেন বাগমুণ্ডির প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতোও। কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক শুভঙ্কর সরকারের নামও শোনা যাচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য।