মুর্শিদাবাদ: ভাঙন তৃণমূল কংগ্রসে। বহরমপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে পছন্দ হয়নি। তাই দল ছাড়লেন শতাধিক তৃণমূল কর্মী। সকলেই যোগদান করলেন কংগ্রেসে। দলনেতা অধীর চৌধুরীর কাছ থেকে তুলে নিলেন হাত পতাকা।
সোমবার দুপুরে বহরমপুর জেলা কার্যালয়ে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। সদ্য কংগ্রেসে যোগদান করা এক তৃণমূল কর্মী শহিদুল শেখ বলেন, “আমি আগে তৃণমূল করতাম। বহরমপুরে এমন একজনকে প্রার্থী করা হল যাকে ভোট দিলে তৃণমূল পাশ করবে না। উল্টে দেখব বিজেপি জিতবে। তাই কাছের মানুষ, কাজের মানুষ অধীর চৌধুরীর দলে যোগদান করলাম। ওনাকে সব সময় পাশে পাব। প্রয়োজনে কাছে পাব। দরকারে সব সময় উনি থাকেন। তাই আমি এই দলে যোগ দিলাম।” এ দিন যোগদান সভা থেকে অধীর চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরও তৃণমূল কর্মীরা দল ছেড়ে কংগ্রেসে আসছেন এটা আমাদের কাছ বড় পাওনা।”
রবিবার ব্রিগেডের ময়দান থেকে লোকসভা ভোটের ৪২ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল। তবে সব থেকে চমক দেয় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। সেখানে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানো হয় প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। কিন্তু এরপরই প্রশ্নের মুখ পড়তে হয় রাজ্যের শাসকদলকে। পাঁচ বারের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারাতে শেষে বহিরাগত প্রার্থী দিল তৃণমূল? খোদ অধীর চৌধুরী বলেন, “যে এলাকা ইউসুফ চেনেন না, যে এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর কোনও পরিচয় নেই, যেখানকার ভাষা তিনি জানেন না সেখানে তাঁকে এনে আপনি আপনার ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন।” যদিও, এ প্রসঙ্গে বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি মাহে আলম বলেন, “আমরা এই বিষয়ে কিছু জানি না। এরা বিজেপি সিপিএম-এর লোক। তৃণমূলের নাম দিয়ে যোগদান করালে চলবে না।”