Murshidabad Unrest: ‘গলায় ছুরি ঠেকিয়ে কানের দুলটা ছিনিয়ে নিল’, সাংবাদিককে দেখেই কেঁদে ফেললেন বৃদ্ধা
Murshidabad Unrest: নববর্ষে নতুন জামা তো দূরস্ত! ৪ দিন ধরে একই জামায় গ্রামের বাচ্চারা। সব হারিয়ে চোখে জল বড়দের। কীভাবে নতুন করে জীবন শুরু করবেন, সব হারিয়ে কীভাবে চলবে সংসারের ঘানি, তা নিয়ে দিশেহারা এলাকারই বাসিন্দারা।

বেতবোনা: নববর্ষের আলো নয়, এখন বিষাদের অন্ধকারে ঢেকে রয়েছে সামশেরগঞ্জের বেতবোনা গ্রাম। চোখে জল নিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের শুধু একটাই কথা, নববর্ষে বাঙালির সব কিছু নতুন থেকে শুরু হয়। কিন্তু আমাদের সেই শুরু করার ক্ষমতাটুকু শেষ করে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কীভাবে নতুন করে জীবন শুরু করবেন, সব হারিয়ে কীভাবে চলবে সংসারের ঘানি, তা নিয়ে দিশেহারা এলাকারই বাসিন্দারা। ধ্বংসাবশেষের মধ্যেই অন্ধকারের মধ্যে হাতরাচ্ছেন তাঁরা। যদি কিছু বেঁচে থাকে।
মেলেনি নববর্ষের নতুন জামা। তিন চারদিন ধরে একই জামা পরে কোনওরকমে দিন কাটছে গ্রামের ছোট-ছোট ছেলেমেয়েদের। নববর্ষে পেটে খিদে, চোখে অসহায়তা! আনন্দ তো দূর অস্ত, এখন সুরক্ষা, মাথায় ছাদ, গায়ে পোশাক এবং পেটে খাবার– হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছে গোটা গ্রাম। খাবার না পেলে বাঁচব কীভাবে? চোখ মুছতে মুছতে প্রশ্ন গ্রামের বাসিন্দাদের।
কাঁদতে কাঁদতেই গ্রামের এক মহিলা বললেন, “আমার ঘরে কিছু নেই। সব সোনাদানা যা ছিল সব নিয়ে চলে গিয়েছে। ছাগলের বাচ্চাগুলোকেও নিয়ে চলে গিয়েছে। কাঁসার তালা, হাঁড়ি যা ছিল ঘরে তাও নিয়ে গিয়েছে। বাথরুম, কল সব ভেঙে দিয়েছে। কিচ্ছু নেই।”
চোখ জল নিয়েই আর এক বৃদ্ধ বলছেন, “নববর্ষের আনন্দ আর কোথায় বাবা! আমার বাড়িতে তো কিছুই নেই। লুটপাট করে সব নিয়ে চলে গিয়েছে। আমার গলায়, আমার কানে ছুরি ধরেছিল। আমার কানের ছিনিয়ে নিয়েছে। তিনটে খাসি ছিল নিয়ে চলে গিয়েছে। আমার বাড়িতে আর কিছুই নেই। ওরা বলছিল কানের না দিলে আপনাদের বেইজ্জত করা হবে।”





