Madrasah Results: ভাঙাচোরা বেচেই সংসার টানে বাবা, দুঃস্থ পরিবারের সেই ছেলেই আজ মাদ্রাসায় প্রথম
Madrasah Results: ভাঙাচোরা বেচে সামান্য আয় বাবার, চরম দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে হাই-মাদ্রাসায় প্রথম মুর্শিদাবাদের আশিক। চোখে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন।
মুর্শিদাবাদ: মাধ্যমিকে (Madhyamik 2023) প্রথম দশে ছিল না জেলার কোনও পড়ুয়া। কিন্তু, মাদ্রাসার ফলে জয়জয়কার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)। প্রথম দশের মেধাতালিকায় স্থান পেল জেলার দুই পড়ুয়া। মুর্শিদাবাদের ভাবতা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসার (High-Madrasah) আশিক ইকবাল রাজ্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০। দ্বিতীয় স্থানে রানীনগরের বেনিয়াপুর হাই মাদ্রাসার নাসিরউদ্দিন মোল্লা। প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। আশিকের পরিবারের অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। ভাংড়ির ব্যবসা করে কোনওমতে সংসারের ঘানি টানেন বাবা। তবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বরাবরই আশিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষকরা।
এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আশিকও। বাবা-মায়ের পাশে দাড়িয়েই হাসিমুখে বলল, “খুবই ভাল লাগছে। রেজাল্ট ভাল হবে আশা করেছিলাম। এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকব এই আশা ছিলই। আমার এই সাফল্যের জন্য আমার স্কুলের শিক্ষকদের বড় অবদান রয়েছে।”
কিন্তু, এখন এই সাফল্যের পর উচ্চশিক্ষার পথে এগোতে চাইছে আশিক। ছেলের দারুণ সাফল্যে খুশি আশিকের মা-বাবাও। আশিকের বাবা বলেন, “খুবই আনন্দিত আমরা। খুব ভাল লাগছে। স্কুলের মাস্টাররা সবসময় বলতেন ও অনেক দূর যাবে। আমাদেরও ভরসা ছিল ওর উপর।” কিন্তু, আশিক উচ্চশিক্ষার পথে এগোতে চাইলেও তার টাকা কোথা থেকে আসবে তা ভেবেই এখন দিশাহীন তাঁর মা-বাবা। চাইছেন সরকারি সাহায্য। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ও তো আরও পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু, আমাদের সংসারের হাল তো খুবই খারাপ। আমি সাইকেলে করে লোহা ভাঙা কেনা-বেচা করে কোনওমতে কিছু টাকা উপার্জন করি। ধারদেনা করে এতদিন ওকে পড়াশোনা করিয়েছি। মাস্টাররাও খুব সাহায্য করেছেন। এখন যদি সরকার সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে খুবই ভাল হয়।”