Murshidabad : ‘কেন এত কড়া গার্ড? প্রশ্নের উত্তর ভুলে যাচ্ছি’, ‘টুকলিতে’ বাধা পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ইটবৃষ্টি পড়ুয়াদের

Murshidabad : এদিকে রানিনগরের সেখপাড়ার জিডি কলেজের সামনে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ছুটে আসে পুলিশ।

Murshidabad : ‘কেন এত কড়া গার্ড? প্রশ্নের উত্তর ভুলে যাচ্ছি’, ‘টুকলিতে’ বাধা পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ইটবৃষ্টি পড়ুয়াদের
পরীক্ষাকেন্দ্রে ইটবৃষ্টি পড়ুয়াদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 15, 2023 | 7:50 PM

মুর্শিদাবাদ : “আমাদের পরীক্ষা দেওয়া এত কঠিন কেন হবে? এত গার্ড কিসের জন্য? আমরা পরীক্ষা দিতে চাই না।” ক্ষোভে ফেটে পড়ল পড়ুয়ার দল। চলল রাস্তা অবরোধ। ছুটে এল পুলিশ (Police)। ব্য়াপক চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের সেখপাড়ার জিডি কলেজের সামনে। এই কলেজেই ডোমকল বসন্তপুর কলেজের স্নাতকের তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষার সিট পড়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্র এত কড়া গার্ড দেওয়া হয়েছে যে তাঁরা সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা দিতে পারেননি। ভুলে গিয়েছেন জানা উত্তর। আর সে কারণেই বাধ্য হয়ে বিক্ষোভের রাস্তায় হাঁটেন। পরীক্ষার্থী সাজবুল শেখ বলেন, “আমাদের পরীক্ষা দেওয়া এত কঠিন কেন হবে? এত গার্ড কিসের জন্য? আমরা পরীক্ষা দিতে চাই না। কেউ পরীক্ষা দিতে চাইবে না। গার্ডদের চাপে আমরা জানা জানা প্রশ্নের উত্তরও ভুলে যাচ্ছি। এই অবস্থায় কী করে পরীক্ষা দেব?”

এদিকে রানিনগরের সেখপাড়ার জিডি কলেজের সামনে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে সেখপাড়া-সাগরপাড়া রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে রানিনগরের ওসি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহীনি এসে ধমকে অবরোধ তুলে দেয়। অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, কলেজে ভাঙচুরও চালিয়েছে পড়ুয়ারা। ছোড়়া হয়েছে ইট। অধ্যাপকদেরও মারধরের চেষ্টা করা হয়। ইট বৃষ্টিতে কলেজের দুজন কর্মীও জখম হয়েছেন বলে কলেজ সূত্রে খবর। 

ঘটনায় কলেজে অধ্যক্ষ মহম্মদ কাটেমন বলেন, “বোর্ড নিয়ে আসার নিয়ম নেই। তারপরেও আমরা ওগুলো নিয়ে ঢুকতে দিয়েছিলাম। এখন বোর্ডকে ঢাল করেই অন্যায় কাজ করছে। গতকাল এই ছবি দেখা যায়। আজ বোর্ড নিয়ে ঢুকতে দিইনি। এ সিদ্ধান্ত জানাতেই ওরা বলে পরীক্ষা দেবে না। ক্ষোভে ফেটে পড়ে। কলেজের শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেলও ছুড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে আমরা প্রশাসনের কাজে সাহয্য চাই। পুলিশ আসে, কিন্তু বেশ খানিকটা দেরিতে।” যদিও বিক্ষুব্ধ পড়ুয়া তুফাইল আহমেদ শেখের দাবি, “আমরা তিন বছর ধরে কোনও পরীক্ষা দিইনি। শেষ বার বোর্ডের পরীক্ষা দিয়েছিলাম মাধ্যমিকে। তারপর এখন আবার এই প্রথম অফলাইনে পরীক্ষা দিচ্ছি। লকডাউনের কারণে আমাদের প্রস্তুতি ঠিকমতো নেওয়া হয়নি। এখন গার্ড দেখে মনে হচ্ছে যেন আমরা আইএএসের পরীক্ষা দিতে এসেছি। পিচবোর্ড থেকে শুরু করে জলের বোতল কিছুই নিয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না। এখন বলছে পিচবোর্ড অ্যালাউ নেই। কিন্তু, কাল তাহলে পিচবোর্ড নিয়ে ঢুকতে দিল কেন? এত কড়াকড়ির মধ্যে কেন পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তা জিজ্ঞেস করতে গেলে আমাদের মারা হয়।”