
মুর্শিদাবাদ: ভোটের এখনও বেশ কিছু মাস বাকি। তার আগেই যেন ধীরে ধীরে তপ্ত হয়ে উঠছে মুর্শিদাবাদের মাটি। তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা জেলার রাজনৈতিক মহলে। প্রথমে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। মৃত তৃণমূল কর্মী হায়াতুল্লাহ শেখ বাড়ি বহরমপুর থানার অন্তর্গত রাজধরপাড়ার কুমড়োদহ ঘাট এলাকায় বলে জানা যাচ্ছে।
হায়াতুল্লাহ আবার সম্পর্কে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি চেয়ারম্যান আইজুদ্দিন মণ্ডলের শ্যালক বলেও জানা যাচ্ছে। জামাইবাবুও বলছেন দীর্ঘদিন থেকেই তাঁর শ্যালক সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। তবে গোটা ঘটনার বিবরণ শুনে তাঁর মত এর পিছনে কংগ্রেসই রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারে বাড়ির পাশেই হায়াতুল্লাহ শেখের উপর চড়াও হয় চার থেকে পাঁচজন দুষ্কৃতী। রক্তে ভেসে যায় রাস্তা। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান আইজুদ্দিন মণ্ডলের সাফ কথা। আক্রমণকারীদের সঙ্গে রাজনৈতিক বৈরিতা ছিল। তাঁর কথায়, “রাতে কংগ্রেসের ছেলেদের সঙ্গে ছিল। কিন্তু ওদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকেই মত পার্থক্য ছিল। কারণ ওরা কংগ্রেস করে, এর এ তো তৃণমূল করতো। কংগ্রেসের ছেলেরাই পেটে ছুরি মেরেছে বলে শুনেছি। যখন ঘটনাটা ঘটেছে তখন ও বাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন চার থেকে পাঁচজন এসে ওকে আক্রমণ করে।”