Murshidabad Unrest: ধুলিয়ানে পুুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দাদার দোকানে আগুন লাগানোর অভিযোগ, পুলিশ বলছে অন্য কথা
Murshidabad Unrest: ধুলিয়ান যেতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, অন্য দলের নেতা-নেত্রীরা সেখানে গিয়েছেন। শুভেন্দু যেতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শর্ট-সার্কিট বা অন্য কোনও কারণে এই আগুন নয়, দোকানের গেট দিয়েই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দোকানের ভিতর প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় মুহূর্তেই মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে চলে যায় আস্ত দোকান। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় বেশ কিছুক্ষণ পর আগুন নেভানো সম্ভব হয়। খবর পেয়ে শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। যদিও জঙ্গিপুর পুলিশের তরফে বলা হচ্ছে, এ ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িক হিংসার কোনও যোগাযোগ নেই। ইতিমধ্যেই তাঁদের তরফে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের বিবৃতি
পুরসভার চেয়ারম্যানের ভাইপো সৌরভ সাহা বলছেন, “কীভাবে আগুন লাগল জানা নেই। কিন্তু এটা শর্ট-সার্কিট থেকে হয়নি।” কোনওভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, “আমাদের সন্দেহ তলা দিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। দরজার মুখ থেকেই আগুনটা দেখা গিয়েছে।” অন্যদিকে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলছেন, “৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি দোকানে আগুন ধরেছে। তা নিয়ে অনেক গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি এটা দুর্ঘটনা। ওখানে আমাদের পুলিশ পিকেট ছিল, প্যারা মিলিটারি ফোর্স ছিল। ওখানে কোনও হামলা, হিংসা হয়নি।”
পর পর মামলা
অন্যদিকে ধুলিয়ান যেতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, অন্য দলের নেতা-নেত্রীরা সেখানে গিয়েছেন। শুভেন্দু যেতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। সে কারণেই তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সূত্রের খবর, এদিন দুপুরেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
এদিকে পরপর সরকারি ছুটি শেষে এদিনই খোলার কথা ছিল স্কুল। কিন্তু, কার্যত বনধের চেহারা ধুলিয়ানে। এখনও বন্ধ স্কুল। সঙ্কটকালে কীভাবে নিরাপদে স্কুলে পৌঁছাবে পড়ুয়ারা তা ভেবেই চিন্তায় অভিভাবকেরা। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের অশান্ত এলাকায় ত্রাণ ইত্যাদি ত্রাণ দিতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে আরও একটি সংগঠন। তাঁদের দাবি, ছোট ছোট টিম যাবে ওষুধ, খাবার পৌঁছে দিতে। বাকিরা গেলেও ওই সংগঠনকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের অনুমতি মিলেছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি।





