
মুর্শিদাবাদ: কমিশনের পোর্টালে সংখ্য়ালঘুরা যাতে নাম তুলতে না পারে, সেই চক্রান্ত শুরু করেছে শাহের দফতর। এই অভিযোগ এক বিধায়কের। তিনি শুধুই বিধায়ক নন, রাজ্য়ের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীও। নাম আখরুজ্জামান। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তিনি। এবার এই বিধায়কই তুললেন বিস্ফোরক অভিযোগ। তাও আবার স্বরাষ্ট্র দফতরের বিরুদ্ধে।
বিধায়কের দাবি, ‘রঘুনাথগঞ্জ জেলায় প্রায় সমস্ত ফর্ম বিলির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ৬০ শতাংশ ভোটার তাঁদের এসআইআর ফর্ম বিএলও-দের কাছে জমা করে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা যখন কমিশনের পোর্টাল দেখছি, সেখানে অধিকাংশ ভোটারেরই নাম ওঠেনি। যদি আমি শুধু দুই নম্বর ব্লকের কথা বলি, সেখানে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভোটারের নাম পোর্টালে উঠেছে।’
কিন্তু কেন পোর্টালে নাম উঠছে না? কমিশন বলছে, SIR ফর্ম বিলির কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে। ফর্ম সংগ্রহের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তা হলে পোর্টালের নথি আপলোডের কাজ কবে শুরু হবে? আর শুরু যদি হয়েও থাকে তা হলে কেনই বা এত অভিযোগ? বিধায়ক জানিয়েছেন, সার্ভার ডাউনের কারণেই তথ্য আপলোড করা যাচ্ছে না। তবে এই ঘটনা স্বাভাবিক নয়। তাঁর চোখে, এর নেপথ্যে রয়েছে চক্রান্ত।
কমিশনের পোর্টালে যাতে নাম নথিভুক্ত না করা যায়, সেই কারণেই ‘সার্ভার ডাউন’ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আখরুজ্জামানের। এমনকি, এর নেপথ্য়ে সংখ্যালঘু তত্ত্বকেই জুড়ে দিয়েছেন তিনি। বিধায়কের কথায়, ‘অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীরা সংখ্যালঘু এলাকাগুলিকে টার্গেট করছে। ওনারা তো আমাদের এই মুর্শিদাবাদকে রোহিঙ্গাদের এলাকা বলেন। সবাইকে বের করে দেওয়ার কথা বলেন।’
অবশ্য বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলতে চাননি প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে মুখ খুলেছে বিজেপি। এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের এত ভয় কেন? সেই প্রশ্নই তুলেছেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দলে দলে মানুষ বাংলা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। সব বাংলাদেশি।’