Murshidabad unrest: ‘খুনিদের’ আগেই থেকেই চিনতো গোটা গ্রাম? হরগোবিন্দ-চন্দনদের পরিকল্পনা করেই ‘টার্গেট’?
Murshidabad unrest: ওই মিস্ত্রি এলাকার মানুষের অত্যন্ত চেনাশোনা বলেই দাবি করলেন পরিবারের লোকজন। তবে এই ঘটনায় আরও দোষী আছে বলে দাবি করলেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। এমনকি আশপাশের গ্রামের অনেকেই রয়েছে যারা তাদের গ্রামে এসে থাকতো।

জাফরাবাদ: জাফরাবাদে বাবা-ছেলের খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজন গ্রেফতার। যার মধ্যে অন্যতম ইনজামাম হক। এই বিদ্যুতের মিস্ত্রি খুন হওয়া হরবোবিন্দ ও চন্দনের পরিবারের লোকেদের চেনাশোনা ছিল বলে পুলিশ ইতিমধ্যেই দাবি করেছে। এই প্রসঙ্গে জাফরাবাদের ওই পরিবারের সদস্যরা স্পষ্টই বলছেন, ওই বিদ্যুতের মিস্ত্রি তাঁদের গ্রামে আসত। এলাকায় অনেক সময় পড়ে থাকতো। কিন্তু, এই ধরনের আচরণ বা খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে সেটা কখনোই বোঝা যায়নি।
ওই মিস্ত্রি এলাকার মানুষের অত্যন্ত চেনাশোনা বলেই দাবি করলেন পরিবারের লোকজন। তবে এই ঘটনায় আরও দোষী আছে বলে দাবি করলেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। এমনকি আশপাশের গ্রামের অনেকেই রয়েছে যারা তাদের গ্রামে এসে থাকতো। এই খুনের ঘটনায় সেইসব দুষ্কৃতীরাও যুক্ত রয়েছে বলে দাবি করলেন পরিবারের সদস্যরা। তাহলে আগে থেকেই ওই ইলেকট্রিক মিস্ত্রি টার্গেট করে রেখেছিল হরগোবিন্দদের পরিবারকে? ক্রমেই জোরাল হচ্ছে প্রশ্ন। তদন্ত চালাচ্ছে সিট। একদিন আগেই সিটের তদন্তকারীরা এই বাড়িতে এসে নমুনাও সংগ্রহ করেন।
একইসঙ্গে নিজেদের সুর আরও চড়িয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবার এবং এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া অনুদান তাঁরা কোনওভাবেই নেবেন না। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, হরবোবিন্দ-চন্দনের পরিবারের সদস্যদের দাবি, ১০ লাখ দিয়ে কোনওভাবেই ঘটনা চেপে দেওয়া যাবে না। পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা মানতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। যেসব পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে সুর চড়াচ্ছেন তাঁরা।
