Murshidabad Arms Case: জেলমুক্তির পরই আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ফের গ্রেফতার তৃণমূলের জঙ্গল
Former Councillor Arrested: মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় পুলিশি টহলদারির সময় রামচাঁদমাটিতে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছ থেকে দলবল-সহ গ্রেফতার করা হয় কাটোয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলর জঙ্গল শেখকে। প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের নাম মুনর আলি, লালু শেখ ও আজিবুল শেখ।
মুর্শিদাবাদ ও কাটোয়া: জেল থেকে মুক্তির এক মাসের মধ্যেই ফের গ্রেফতার কাটোয়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখ। বুধবার গভীর রাতে কাটোয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলরকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পাকড়াও করেছে ভগবানগোলা থানার পুলিশ। গতরাতে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় পুলিশি টহলদারির সময় রামচাঁদমাটিতে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছ থেকে দলবল-সহ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের নাম মুনর আলি, লালু শেখ ও আজিবুল শেখ। এরা প্রত্যেকেই জঙ্গল শেখের সঙ্গী বলেই জানা যাচ্ছে এবং এদেরও বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়াতে। কী কারণে কাটোয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর সঙ্গীরা দলবল নিয়ে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় ঘোরাঘুরি করছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন তাদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, কোথায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের, সেই সব নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে ভগবানগোলা থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, এই জঙ্গল শেখ ২০১৫ সালে কাটোয়া পুরসভার কাউন্সিলর হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। খুন, তোলাবাজি-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ ছিল একাধিক থানায়। কাউন্সিলর থাকাকালীনই গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন জেল খাটেন। সম্প্রতি ১৫-২০ দিন আগে জেল থেকে মুক্তি পান প্রাক্তন কাউন্সিলর। তবে শর্ত ছিল, নিজের জেলায় ঢুকতে পারবেন না তিনি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন কাউন্সিলর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কাটোয়া পার্শ্ববর্তী নদিয়া জেলায় থাকতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরেই তাঁকে মোবাইলে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে খবর। এমনকী নদিয়ার যেখানে থাকার কথা, সেখানেও তাঁর কোনও পাত্তা ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে। আর এরই মধ্যে গতরাতে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থেকে দলবল-সহ গ্রেফতার হন ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর।
এদিকে জঙ্গল শেখ জেল থেকে মুক্তির কয়েকদিনের মধ্যেই বাঁকুড়া জেলায় তাঁর ছেলে সাদ্দাম শেখের উপরেও হামলা হয়েছিল বলে খবর। সেই হামলায় সাদ্দাম প্রাণে বাঁচলেও, এখন তিনি কোথায় রয়েছেন, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে এই দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।