TMC MLA: তৃণমূল বিধায়কের অফিসে জিএসটি টিমের হানা, জাকির হোসেন বললেন…
TMC MLA: জাকির হোসেন বলেন, "আমি হয়রানি হচ্ছি, এটা ঠিক। অফিসাররা সহায়তা করেছেন। অফিসারদের বলব, তাঁরা যেন সঠিক রিপোর্ট দেন।" তল্লাশির পর তাঁকে ডাকা হয়নি জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, "আমাকে ডাকা হয়নি। ডাকলে অবশ্যই যাব।"

জঙ্গিপুর: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের কারখানায় হানা জিএসটি টিমের। জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের সুতির অরঙ্গাবাদে বাড়ির কাছে বিড়ির প্রোডাকশন অফিসে হানা দেয় তারা। বেশ কয়েকজনের একটি টিম সিআরপিএফের জওয়ানদের নিয়ে মঙ্গলবার হাজির হয় জাকির হোসেনের প্রোডাকশন হাউসে। বেশ কয়েকঘণ্টা চলে তল্লাশি অভিযান। তাঁর কারখানায় তল্লাশি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন জাকির হোসেন।
জানা গিয়েছে, মূলত চলতি আর্থিকবর্ষে ট্যাক্সের বিষয় খতিয়ে দেখতেই জিএসটি টিম এই অভিযান চালায়। বেশ কিছু অসঙ্গতি তারা পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাত দুটো নাগাদ জাকির হোসেনের অফিস থেকে বেরিয়ে যায় জিএসটি টিম। প্রায় ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তারা ছিল। জিএসটি আধিকারিকরা কিছু নথিপত্র নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
তাঁর অফিসে জিএসটি-র তল্লাশি নিয়ে জাকির হোসেন বলেন, “অফিসাররা তাঁদের কাজ করেছেন। আমি সহায়তা করেছি। আট ঘণ্টা ধরে সেখানে ছিলাম। আমি আইন মেনে ব্যবসা করি। জিএসটি ও আয়কর দিই। ৩০ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের রুটিরুজির ব্যাপার রয়েছে। তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। কাজ চলে যেতে পারে বলে তাঁদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।”
এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জাকির হোসেনের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর। বারবার তাঁর অফিসে হানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না জানি না। কেন্দ্রের উপর আস্থা আছে। তারা টিম পাঠাক। তবে যদি চিঠি পাই সবচেয়ে ভাল হয়। যত কম আসবে ভাল হয়। কারণ, শ্রমিকরা কাজ হারানো নিয়ে চিন্তায় পড়েন।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি হয়রানি হচ্ছি, এটা ঠিক। অফিসাররা সহায়তা করেছেন। অফিসারদের বলব, তাঁরা যেন সঠিক রিপোর্ট দেন।” তল্লাশির পর তাঁকে ডাকা হয়নি জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন, “আমাকে ডাকা হয়নি। ডাকলে অবশ্যই যাব। তবে আমি নিয়ম মেনে কাজ করি। ভয়ের কিছু কারণ নেই।”

