
মুর্শিদাবাদ: ভোটের এখনও কয়েকমাস বাকি। কোনও দলই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। সোমবার রাজ্য-রাজনীতিতে চমক দিয়ে নতুন দল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আরও বড় চমক দিয়ে কলকাতার বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের জন্যও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন হুমায়ুন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল।
সোমবার মুর্শিদাবাদে হুমায়ুনের নতুন দল ঘোষণার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নিশা চট্টোপাধ্যায়। তাঁকেই বালিগঞ্জের প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়ে দেন বিধায়ক। সব মিলিয়ে মোট ১০টি কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তার মধ্যে দুটি কেন্দ্রে হুমায়ুন নিজেই লড়বেন। এছাড়াও তালিকায় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীদের নামও রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে হুমায়ুন জানিয়ে দিলেন, নিশাকে বালিগঞ্জের প্রার্থী করা হচ্ছে না।
সোমবার প্রার্থী হিসেবে নিশার নাম ঘোষণা হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিশার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। নিশার ব্যক্তিগত জীবন, চলাফেরা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, নিশার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতেন না তিনি। হুমায়ুন বলেন, “জানতাম উনি একজন সেলিব্রিটি। ওঁর যে বারে গিয়ে ড্রিংকস করার ছবি সামনে এসেছে, তাতে ব্যক্তিগত জীবন, চলাফেরা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। আমি এসব জানতাম না। ব্রাহ্মণের মেয়ে বলে প্রার্থী করেছিলাম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টে দিয়েছি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্রে কোনও সংখ্যালঘুকেই প্রার্থী করবেন। আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, বালিগঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। দীর্ঘ সময় এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরে তাঁর মৃত্যুর পর উপ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন বাবুল সুপ্রিয়। ওই বিধানসভা এলাকার একটা বড় অংশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। ৬০, ৬১, ৬৪ ও ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ পার্ক সার্কাস, কড়েয়া বেনিয়াপুকুর, মল্লিকবাজার এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।