AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Recruitment Case: ‘আমার তো একটা দায়িত্ব আছে’, চাকরি হারিয়েও ‘রাজধর্ম’ পালন করলেন হেড স্যর

Recruitment Case: স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা ৩৭৬০ জন। চারজন পার্শ্ব শিক্ষক নিয়ে মোট ১৯ জন শিক্ষক রয়েছেন স্কুল। এই স্কুলেই মোট ১১ জনের চাকরি যাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অভিভাবকেরা।

Recruitment Case: ‘আমার তো একটা দায়িত্ব আছে’, চাকরি হারিয়েও ‘রাজধর্ম’ পালন করলেন হেড স্যর
জিয়াউল হক Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 04, 2025 | 6:18 PM
Share

সুতি: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল। বাংলায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মী। শোরগোল পড়ে গিয়েছে নাগরিক মহলে, চাপানউতোর রাজনীতির আঙিনাতেও। এদিকে তিন মাসের মধ্যে ফের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর কথা বলছে দেশের শীর্ষ আদালত। এদিকে যোগ্য অযোগ্য নিয়েও চাপানউতোর চলছে পুরোদমে। চিহ্নিত অযোগ্যদের ইতিমধ্যেই টাকা ফেরতের কথা বলেছে শিক্ষা দফতর। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশের পরে আর কী স্কুলে আসবেন চাকরিহারারা? এ নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে স্কুলে এলেন সুতির বহুতালি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বাতিল খাতায় নাম রয়েছে তাঁরা। তিনি বলছেন, স্কুলে না আসার বিষয়ে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। 

তিনি ছাড়াও এই স্কুলেই চাকরি গিয়েছে আরও ১১ জনের। এদিকে স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা ৩৭৬০ জন। চারজন পার্শ্ব শিক্ষক নিয়ে মোট ১৯ জন শিক্ষক রয়েছেন স্কুল। এই স্কুলেই মোট ১১ জনের চাকরি যাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অভিভাবকেরা। ফলে বর্তমানে খাতায় কলমে শিক্ষকের সংখ্যা ৮ জন। চাকরি গেলেও মানবিকতার খাতিরে এদিন স্কুলে এসেছেন বলে জানাচ্ছে জিয়াউলবাবু। বলছেন, মন ভারাক্রান্ত, কিন্তু স্কুলে পরীক্ষা চলছে। তাই অচলাবস্থা যাতে তৈরি না হয় সে কারণেই তিনি স্কুলে এসেছেন। 

জিয়াউলবাবু বলছেন, “স্কুলে তো প্রায় ৪ হাজারের উপর পড়ুয়া। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমাদের স্কুলের ১১ জনের চাকরি গিয়েছে। তাতে আমিও রয়েছি। আমিও ১০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পাই। আগে কোচবিহারে ছিলাম। তারপর মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে এখানে আসি। এখন তো এই অবস্থার পরে স্থায়ী শিক্ষক ৪ জন থাকছে স্কুলে, আর প্যারা টিচার ৪ জন। মোট ৮ জন।” স্কুলের আসা নিয়ে বলতে বলেন, “২ তারিখ থেকে তো পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তারমধ্যে খবরটা এল। প্রথমে তো ডিউটি করতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। আজকেও স্কুলে পরীক্ষা হচ্ছে। আমার যেহেতু দায়িত্ব আছে তাই স্কুলে এসেছি। ডিপার্টমেন্টাল নোটিসও এখনও পাইনি। স্কুলের দায়িত্বভার তো হঠাৎ করে অন্য কাউকে দেওয়া যায় না। হিসাব নিকেশের বিষয় রয়েছে। পরীক্ষাটা চালানোর জন্যই আজ স্কুলে এসেছি। তবে আমি ছাড়া যাদের তালিকায় নাম আছে তাঁরা আসেননি।”