Humayun Kabir: ‘২টি আসনে লড়ে জিতব, জামাই আদরে তৃণমূলে ঢুকব’, ফের বেলাগাম হুমায়ুন

Humayun Kabir: ভরতপুরে তৃণমূলের কমিটি এখনও গঠন না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, "ভরতপুরে কমিটি এখনও ঝুলিয়ে রেখেছে। কমিটি ক্লিয়ার করবে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আমাদের মনোমত প্যানেল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছি। সেই প্যানেল অনুযায়ী নেতৃত্ব ঘোষণা হলে ভোটে লড়ব। না হলে মুর্শিদাবাদের দুটি আসনে ভোটে লড়ব।"

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Oct 18, 2025 | 2:06 PM

মুর্শিদাবাদ: বারবার তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। শোকজও করা হয়েছে। তারপরও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের মুখে কি লাগাম পরানো গেল? ভরতপুরের বিধায়কই বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর মুখে লাগাম পরানো সম্ভব নয়। ফের দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন তিনি। এবার দুটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার হুঁশিয়ারি দিলেন। এখানেই শেষ নয়, তাঁর বক্তব্য, দুটি আসনে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জামাই আদর করে গ্রহণ করে নেবেন।

দলের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করায় ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূল হুমায়ুনকে প্রার্থী করবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। পোড়খাওয়া রাজনীতিক হুমায়ুনেরও যে তা অজানা নয়, তা তিনি নিজেই স্পষ্ট করে দিলেন। ছাব্বিশের নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে তাই বললেন, “আমি কোনও জায়গায় প্রার্থী হব কি না, সেটা সময় কথা বলবে। আমি এটুকু বলছি, ভরতপুরে দল প্রার্থী করলে দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে ভোটে লড়ব।”

এরপরই ভরতপুরে তৃণমূলের কমিটি এখনও গঠন না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ভরতপুরে কমিটি এখনও ঝুলিয়ে রেখেছে। কমিটি ক্লিয়ার করবে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আমাদের মনোমত প্যানেল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছি। সেই প্যানেল অনুযায়ী নেতৃত্ব ঘোষণা হলে ভোটে লড়ব। না হলে মুর্শিদাবাদের দুটি আসনে ভোটে লড়ব। রেজিনগর আর বেলডাঙায় লড়ব। দুটো সিটেই জিতে দেখাব। তারপর আবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব। গিয়ে জামাই আদরে আবার দলে ঢুকব।” নির্দল হিসেবে লড়বেন কি না, তা এখনই খোলসা করতে চাইলেন না। বললেন, “৪৩ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আমার পলিসি এখনই বলব না।”

ভরতপুরের বিধায়কের এই হুঁশিয়ারি নিয়ে কটাক্ষ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “উনি সকালে একটা পার্টি করেন, দুপুর একটা পার্টি করেন আর রাতে একটা পার্টি করেন।” ভরতপুর ও রেজিনগরে দাঁড়ালে হুমায়ুন ভোটে হারবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

 

মুর্শিদাবাদ: বারবার তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। শোকজও করা হয়েছে। তারপরও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের মুখে কি লাগাম পরানো গেল? ভরতপুরের বিধায়কই বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর মুখে লাগাম পরানো সম্ভব নয়। ফের দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন তিনি। এবার দুটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার হুঁশিয়ারি দিলেন। এখানেই শেষ নয়, তাঁর বক্তব্য, দুটি আসনে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জামাই আদর করে গ্রহণ করে নেবেন।

দলের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করায় ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূল হুমায়ুনকে প্রার্থী করবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। পোড়খাওয়া রাজনীতিক হুমায়ুনেরও যে তা অজানা নয়, তা তিনি নিজেই স্পষ্ট করে দিলেন। ছাব্বিশের নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে তাই বললেন, “আমি কোনও জায়গায় প্রার্থী হব কি না, সেটা সময় কথা বলবে। আমি এটুকু বলছি, ভরতপুরে দল প্রার্থী করলে দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে ভোটে লড়ব।”

এরপরই ভরতপুরে তৃণমূলের কমিটি এখনও গঠন না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ভরতপুরে কমিটি এখনও ঝুলিয়ে রেখেছে। কমিটি ক্লিয়ার করবে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আমাদের মনোমত প্যানেল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছি। সেই প্যানেল অনুযায়ী নেতৃত্ব ঘোষণা হলে ভোটে লড়ব। না হলে মুর্শিদাবাদের দুটি আসনে ভোটে লড়ব। রেজিনগর আর বেলডাঙায় লড়ব। দুটো সিটেই জিতে দেখাব। তারপর আবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব। গিয়ে জামাই আদরে আবার দলে ঢুকব।” নির্দল হিসেবে লড়বেন কি না, তা এখনই খোলসা করতে চাইলেন না। বললেন, “৪৩ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আমার পলিসি এখনই বলব না।”

ভরতপুরের বিধায়কের এই হুঁশিয়ারি নিয়ে কটাক্ষ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “উনি সকালে একটা পার্টি করেন, দুপুর একটা পার্টি করেন আর রাতে একটা পার্টি করেন।” ভরতপুর ও রেজিনগরে দাঁড়ালে হুমায়ুন ভোটে হারবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।