Humayun Kabir on Mamata: এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন তাঁরই দলের বিধায়ক হুমায়ুন, কেন?
Bharatpur, Murshidabad: মুর্শিদাবাদের লালগোলায় গঙ্গাভাঙন নতুন নয়। বছরের পর বছর গঙ্গা বক্ষে তলিয়ে যায় জমি-বাড়ি সব। বাড়ি-ঘর হারিয়ে পথে বসেন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি একটি আস্ত কালী মন্দির তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গায়। এ দিন, এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল বিধায়ক।

মুর্শিদাবাদ: আবারও বেলাগাম ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। এবার গঙ্গা ভাঙন নিয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে মুখ খুললেন তিনি। তৃণমূল বিধায়কের তোপে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। তাঁর বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা থেকে শুভেন্দু সকলেই। তবে তিন মাস ধরে লালগোলায় গঙ্গা ভাঙন অব্যাহত। মুর্শিদাবাদের মানুষ সোচ্চার হলে সকলে ছুটবে।
কী বলেছেন হুমায়ুন?
মুর্শিদাবাদের লালগোলায় গঙ্গাভাঙন নতুন নয়। বছরের পর বছর গঙ্গা বক্ষে তলিয়ে যায় জমি-বাড়ি সব। বাড়ি-ঘর হারিয়ে পথে বসেন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি একটি আস্ত কালী মন্দির তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গায়। এ দিন, এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে সকলে যাচ্ছেন অথচ মুর্শিদাবাদের এই গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কেউ পদক্ষেপ করছে না। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গে যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে, বন্যা হচ্ছে, মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তখন সেখানে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে বসে আছেন। আবার বিরোধী দলনেতাও তাদের পার্টিগত ভাবে তাঁদের ত্রাণ ও অনেক কিছু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। অথচ তিন মাস ধরে এই লালগোলার তারানগর অবহেলিত। এখানে কি কারও দৃষ্টি আছে? তাহলে হুকের নাম বাবাজি! মুর্শিদাবাদের মানুষ যদি সোচ্চার হই, তখন দেখবেন সবাই ছুটবেন।” তাঁর এও বক্তব্য, সাধারণ মানুষ নিজেদের মধ্যে লড়াই করে। অথচ ন্যায্য দাবি থেকে বেরিয়ে যান। বিধায়ক বলেন, “আমরা তো নির্বোধ। নিজেরা কামড়া-কামড়ি করি। এর বিরুদ্ধে ও আর ওর বিরুদ্ধে এ ল্যাং মারতেই ব্যস্ত। তাই এই পরিস্থিতি করে পার পাচ্ছে কেন্দ্র। আর আমাদের কিছু জনপ্রতিনিধি রয়েছে এমন দায় ঠেলা কথা বলছেন। জনগণ সময় আসলে এর জবাব দেব।”
কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওঁর কথা নিয়ে বেশি বলার দরকার নেই। বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে ওঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। আর উনি তৃণমূলে আছেন কেন?” অপরদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “হুমায়ুনের জানা নেই যে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদরা সংসদে ভূতনী থেকে লালগোলার গঙ্গাভাঙন নিয়ে একের পর প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তাঁরা। কখনও সোচ্চার হয়েছে সামিরুল ইসলাম কখনও সোচ্চার হয়েছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সাংসদ। কেন্দ্র উদাসহীন। ভাঙন একা রাজ্যের পক্ষে রোখা সম্ভব নয়। সেখানে কেন্দ্রের মন্ত্রক অপদার্থ হয়। এই সব না জেনে উনি যে কেন এইসব বলেছেন তার ব্য়াখা উনিই দেবেন। ওঁর বক্তব্য দলের বক্তব্য নয়।”
বস্তুত, ‘দলবিরোধী’ বিভিন্ন মন্তব্যের জন্য এর আগেও হুমায়ুনকে সতর্ক করেছিল তৃণমূল। কলকাতায় এ নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠকও হয়েছে তাঁর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে হুমায়ুন যে হুমায়ুনেই আছেন সেটাই আবারও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
