
মুর্শিদাবাদ: সব কাজে কাটমানি, সরব হলেন পুর দুর্নীতি নিয়েও। দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশের মঞ্চ হিসাবে বিজয়া সম্মিলনীকেই বেছে নিলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন। তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী থেকেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তিনি। বছর ঘুরতেই নির্বাচন। আর সেই আবহে শাসকদলের বিধায়কের এমন মন্তব্য ঘিরে চড়েছে রাজনীতি। বিদ্যজনেরা বলছেন, দলের অন্দরে স্পষ্ট ফাটল।
রবিবার ওই রঘুনাথগঞ্জে একটি বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বললেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ১০০ টাকা পাঠালে ২৫ টাকার কাজ হয়। এগুলোর প্রতিবাদ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে হবে।’ কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এই কথা বললেন বিধায়ক? দলের একাংশের বিরুদ্ধেই কি প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি? সেই নিয়েই এখন চড়েছে রাজনীতি। অবশ্য, জাকির হোসেন তাঁর মন্তব্য-বাণ যে কাটমানি অবধিই সীমিত রেখেছেন এমনটা নয়। পুর দুর্নীতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।
এদিন বিধায়ক বলেন, ‘একুশ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে আমি আক্রান্ত হই। সেই সময় পুরসভায় একাধিক দুর্নীতি হয়েছিল। আমি এসডিও-সহ সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়েছিলাম। পুরমন্ত্রীর কাছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু ন্যায্য বিচার পাইনি।’
উল্লেখ্য, দলের বিধায়কের এমন মন্তব্য ঘিরে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। অবশ্য, সেই অস্বস্তি তাঁরা কৌশলী ভাবে ঢেকে রাখতে চান বলেই মত একাংশের। কুণাল ঘোষের কথায়, ‘এত বড় দলের অন্দরে নানা ইস্যু থাকে। ফলে এর মধ্যে দলবিরোধী বক্তব্যের কোনও বিষয় নেই। ওনার কাছে যদি নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ গিয়ে থাকে, তা হলে অবশ্যই তিনি তা জানাতে পারেন।’ জঙ্গিপুরের বিধায়কের এই মন্তব্যে নিজেদের পায়ের তলায় জমি ফিরে পেয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘এক সময় আমরা রাজীব গান্ধীর মুখে শুনেছিলাম, আমরা যে টাকা পাঠাই, তার ১৫ শতাংশ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছয়। কংগ্রেসী সংস্কৃতি থেকেই তৃণমূল এসেছে। এখন ২৫ শতাংশ আসছে, তা খুব শীঘ্রই ১৫ শতাংশে নেমে যাবে। বাকি সব কাটমানি।’