
মুর্শিদাবাদ: কিছুদিন আগেই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেই মসজিদের জন্য টাকাও সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন তিনি। এবার সেই মসজিদ নিয়ে প্রশ্ন তুলল সংখ্যালঘুদের সংগঠন। ‘বাবরি মসজিদে কেউ গা ভাসাবেন না’, এমনই বার্তা দেওয়া হল জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের তরফ থেকে। রীতিমতো জমায়েত করে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।
জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দের জেলা সম্পাদক আরশাদ মদনানীর বক্তব্য, “মুসলিমরা যদি বাবরি মসজিদ নিয়ে মাতামাতি করে, মসজিদ নির্মাণ করে, তাহলে নিজের পায়ে কুড়ুল মারা হবে। বাবরিতে গা ভাসাবেন না।” মুসলিমরা যাতে বাবরিতে গা না ভাসায়, তার জন্য জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ প্রচার করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের সঙ্গে বাবরি মসজিদের কোনও যোগাযোগ থাকবে না বলেও জানিয়েছেন জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের রাজ্য সম্পাদক কাজী শামসুদ্দিন আহমেদ। শামসুদ্দিন আহমেদ পরিচালিত রাজ্য জমিয়েত উলামায়ে হিন্দের একটি কার্যকারী কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় বহরমপুরের রাধারঘাট এলাকায়। তাঁর দাবি, অযোধ্যার বাবরির স্বাদ মুর্শিদাবাদের বাবরিতে মিটবে না।
সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, মুর্শিদাবাদে সংখ্যালঘুরা সুখে আছে। চক্রান্তের মাধ্যম করে বাবরিকে কেন্দ্র করে অশান্তি ডেকে আনা উচিৎ নয়। সাধারণ মানুষকেও আগামিদিনে এ কথা বোঝাবেন তাঁরা।
কাজী শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “উত্তর প্রদেশের বাবরি মসজিদের কোনও বিকল্প হতে পারে বলে আমরা মনে করি না। আমার মা চলে গেলে, কেউ কি বিকল্প এনে দিতে পারবে? আজমেরের দরগা ধ্বংস করে দিলে কি বেলডাঙায় আজমের দরগা তৈরি হবে? মদিনার বিকল্প কি কোথাও হতে পারে? এই ব্যাপারটাও ঠিক তাই।” তাঁর দাবি, এর পিছনে কোনও কারণ আছে।