
মুর্শিদাবাদ : ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে চমক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এ রাজ্যে বিজেপির উত্থান শুরু হচ্ছে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় তৃণমূল। শুধু বিধানসভা নয়, কলকাতা সহ রাজ্যের সব পুরসভার নির্বাচনেও ঘাসফুলের সাফল্য নজরে পড়েছে। এই আবহের মধ্যেও বিজেপিতে যোগ দিলেন ১০০ জন কর্মী। সোমবার মুর্শিদাবাদে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। দলীয় কার্যালয়ে তাঁরা গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন। যোগদানের সময় এ দিন উপস্থিত ছিলেন উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ।
সদ্য বিজেপি সভাপতি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে ধনঞ্জয় ঘোষের নাম। আর তারপরই তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে এত বেশি মানুষ যোগ দিলেন। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর বিধানসভার অন্তর্গত দফরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যোগদান করেছেন তাঁরা। দফরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগদানের আয়োজন করা হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই স্রোতের উল্টোদিকে গিয়ে এ ভাবে বিজেপিতে যোগদান করার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘দফরপুর অঞ্চলের ১০০ জন মানুষ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করলেন। আমরা সম্মানের সঙ্গে তাঁদের যোগদান করিয়েছি।’ তাঁর কথায়, ‘মূলস্রোতের উল্টোদিকে গিযে যাঁরা বিজেপিতে যোগদান করলেন, তাঁরা নিষ্ঠাবান ও সৎ বলেই আমি মনে করি।’
কিন্তু কেন এ ভাবে আচমকা শিবির বদল! সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক কর্মী জানান, তৃণমূলে থেকে কিছুই পাননি তাঁরা। বিশেষত দরিদ্র মানুষের কোনও উপকারই হয়নি। দলের অন্দরে তাই কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ছিল। এ ভাবে ক্ষোভ তৈরি হওয়াতেই তাঁরা দল ছেড়েছেন বলে দাবি ওই তৃণমূল কর্মীর।
আরও পড়ুন : TMC in Rajyasabha: ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের নিয়ে কী ভাবছে কেন্দ্র? স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতি চাইল তৃণমূল
আরও পড়ুন : Teacher Shortage: ইংরেজিকেও মাতৃভাষার মতোই সমগুরুত্ব দিতে উদ্যোগী সরকার, কিন্তু পড়াবে কে?