
সুতি: ‘অশান্তি করলে বাড়িতে থাকা হাতা খুন্তি দিয়ে ভাল করে দেবেন।’ মুর্শিদাবাদে গিয়ে সম্প্রীতির বার্তার মধ্যে এলাকার মহিলাদের উদ্দেশ্যে এমনটাই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এদিনের সভা থেকে ফের একবার কেন্দ্রের ওয়াকফ আইন নিয়ে নিজের স্ট্যান্ডও ক্লিয়ার করলেন। তাঁর দাবি, গাজোয়ারি করে এই আইন এনেছে কেন্দ্র। বলেন, “কেন্দ্র যদি কোনও আইন করে সেটা আমাদের হাতে থাকে না। আমরা বিরোধিতা করা সত্ত্বেও ওরা গায়ের জোরে করে।” এরপরই সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, “বাংলায় আমি যতক্ষণ আপনাদের সঙ্গে আছি… না হিন্দু, না মুসলমান, না শিখ, না খ্রিস্টান, না কৃষক, না শ্রমিক, না ভাই না বোন, কারও গায়ে কোনও স্পর্শ করতে দেব না। আমরা সবাই আপনজন। আমরা কেউ কারও বিরুদ্ধে নই।”
প্রসঙ্গত, সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই দিকে দিকে বেনজির হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। সুতি থেকে সামশেরগঞ্জ, আগুন জ্বলেছে মুর্শিদাবাদের নানা প্রান্তে। প্রাণ গিয়েছে একাধিক ব্যক্তির। শেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মাঠে নেমেছে আধা সেনা। মাঠে নামে বিএসএফ-ও। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের হিংসায় মৃতদের জন্য ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য় সরকার।
এদিনের সভা থেকে বারবার বিজেপির প্ররোচনায় পা না দেওয়ার কথা বলতে শোনা যায় মমতাকে। বলেন, “বিজেপির কথা শুনে, মৌলবাদীদের কথা প্ররোচিত হবেন না। কোনও ভাগাভাগি করবেন না। মানুষে মানুষে ভাগ করবেন। ভাগ করলে আমার গলাটা হৃদয় থেকে বাদ দিয়ে দিন। আমি সবচেয়ে খুশি হব।”
অন্যদিকে এদিন আবার ঘরে ঘরে তীর ধনুক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। শ্যামনগর থেকে সাফ বলেন, “রামের পুজো করেন, যদি রামের নাম নেন তবে সবাই কে ঘরে ঘরে তীর ধনুক রাখতে হবে। আপনারা শুধু কৃষ্ণের লিলাই দেখেন, আপনারা পুতনা রাক্ষসীকে মেরে ফেলার কৃষ্ণকে দেখেন না। আপনারা কংস মামাকে মেরে ফেলা কৃষ্ণকে দেখেন না।”